শম্ভুনাথ সেনঃ
রাত পোহালেই কালীপুজো। দীপাবলি উৎসব। অমাবস্যার অন্ধকার মুছে যাবে দীপাবলীর আলোয়, মুছে যাবে আমাদের মনের ময়লা। এমন ভাবনা নিয়ে জেলা জুড়ে কালীপুজোর প্রস্তুতি সম্পূর্ণ। জেলা জুড়ে সেজে উঠবে আলোকমালায়। সেজে উঠবে আলোর রোশনাই। মাটির প্রদীপের জায়গায় এখন দখল নিয়েছে ইলেকট্রনিক্স প্রযুক্তি। তবুও এই দীপাবলিতে বীরভূমের লাভপুরে খুদে শিক্ষার্থীরা নিজে হাতে শিক্ষিকা বিনীতা দত্তের তত্বাবধানে ৪০১ টি মাটির প্রদীপ তৈরি করেছে। “বীরভূম সংস্কৃতি বাহিনীর” প্রত্যেকটি ক্যাম্পাসে যেমন সংস্কৃতি ভবন, নাট্য বিদ্যালয়, নাট্য আশ্রম, প্রিয়জিৎ চ্যাটার্জী আর্ট একাডেমি, কথা সাহিত্যিক তারাশঙ্করের ধাত্রীদেবতা ও গুরুকুল আদর্শ বিদ্যাপীঠ প্রাঙ্গন সুসজ্জিত হবে এই প্রদীপের আলোয়। খুদে পড়ুয়ারাদের হাতে কলমে আনন্দময় কর্মে অংশগ্রহণ করানো ও আপন ঐতিহ্যকে শ্রদ্ধা জানাতেই এই কর্মসূচী বলে জানিয়েছেন সংস্কৃতি বাহিনীর কর্ণধার, নির্দেশক উজ্জ্বল মুখোপাধ্যায়।
উল্লেখ্য, বীরভূম সংস্কৃতি বাহিনীর প্রচেষ্টায় লাভপুরে দুই ধরনের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান চলছে গত ২ বছর ধরে। কালিকপুরে গুরুকুল নাট্য আশ্রমে জার্ভনি ফাউন্ডেশনের সহায়তায় পিছিয়ে পড়া ৭৬ জন আদিবাসী শিশুদের নিয়ে চলছে আনন্দ শিক্ষায়তন। লাভপুরে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে প্রি-নার্সারি থেকে চতুর্থ শ্রেণি পর্যন্ত গুরুকুল আদর্শ বিদ্যাপীঠ। এই দুই স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীদের নিয়ে বছরে নানা সময়ে অভিনব কর্মসূচি নেওয়া হয়। আর এবার এই নিজের হাতে গড়া মাটির প্রদীপ নিয়ে দীপাবলীর অপেক্ষায় দিন গুনছে পড়ুয়ারা।