
সেখ রিয়াজুদ্দিনঃ
গতকাল অর্থাৎ শুক্রবার বীরভূম জেলার খয়রাশোল ব্লকের লোকপুর থানার রুপুষপুর অঞ্চলের বারাবন গ্রামে দলীয় কর্মসূচি পালনের পর গোষ্ঠীদ্বন্দের জেরে খয়রাশোল ব্লক তৃণমুল কংগ্রেস সভাপতি কাঞ্চন অধিকারী ও জেলা পরিষদ সদস্য নবগোপাল বাউরীর ওপর হামলার ঘটনা ঘটে। তৃণমুল ব্লক সভাপতির অভিযোগ খয়রাশোল পঞ্চায়েত সমিতির কৃষি কর্মাধ্যক্ষ তথা বারাবন গ্রামের বাসিন্দা আইনুস খাঁনের নেতৃত্বে দলীয় কর্মসূচির শেষে আচমকা রড, ইট, চেয়ার ইত্যাদি নিয়ে অতর্কিতে হামলা চালায়। লোকপুর থানার পুলিশ রক্তাক্ত অবস্থায় উক্ত দুইজনকে চিকিৎসার জন্য নাকড়াকোন্দা ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে যায়। স্বাস্থ্যের অবনতি দেখা দেওয়ায় তাদের সিউড়ি সদর হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। সেই ঘটনার প্রতিবাদ জানাতে কাঞ্চন অধিকারীর সমর্থকগন শনিবার খয়রাশোলে একটি ধিক্কার মিছিল ও পথ সভার আয়োজন করা হয়। মিছিলটি তৃণমুল কংগ্রেসের নবনির্মিত খয়রাশোল দলীয় কার্যালয় থেকে বের হয়ে স্থানীয় বাসস্ট্যান্ড, বাজার, থানা সহ বিভিন্ন এলাকা পরিক্রমা শেষে বাসস্ট্যান্ডের কাছে প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়। মিছিলটির পুরোভাগে ছিলেন জেলা পরিষদ সদস্যা তথা তৃণমুল ব্লক সভাপতি কাঞ্চন অধিকারীর স্ত্রী আঁখি অধিকারী সহ কাঞ্চন অধিকারীর অনুগামীরা। এদিন আঁখি অধিকারী তার বক্তব্যে পুলিশ প্রশাসনের প্রতি তীর নিক্ষেপ করে বলেন হামলাকারীদের চব্বিশ ঘন্টার মধ্যে আটক করতে হবে এবং তাদের উপযুক্ত শাস্তি দিতে হবে। এছাড়াও একান্ত সাক্ষাৎকারে বলেন যারা হামলাকারী তারা দলের কেউ হতে পারে না। আমাদের সাথে দলের সমস্ত স্তরের নেতা কর্মীরা রয়েছেন। তিনি গতকালের ঘটনা সম্পর্কে আরও বিস্তারিত বিবরণ দেন। এদিকে গতকালের ঘটনায় তৃণমূল ব্লক নেতৃত্ব সহ সাতজনের নামে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। যার মধ্যে শনিবার লোকপুর থানার পুলিশ অভিযান চালিয়ে অভিযুক্তদের মধ্যে একজনকে আটক করেছে বলে জানা যায়। উল্লেখ্য আজকের ধিক্কার মিছিলে খয়রাশোল পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি অসীমা ধীবর সহ তৃণমুল ব্লক নেতৃত্ব ও অঞ্চল সভাপতিদের অনুপস্থিতি নিয়ে তৃণমুলের অন্দরে শুরু হয়েছে গুঞ্জন।