শম্ভুনাথ সেনঃ
বীরভূমের মহম্মদবাজার ব্লকের ভুতুরা গ্রাম পঞ্চায়েতের নরসিংহপুর শ্রী শ্রী রামকৃষ্ণ আশ্রমে আজ সাড়ম্বরে নানা অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠিত হল শ্রী শ্রী সারদা জগদ্ধাত্রী পূজা। এই নবমী তিথিতে সারদা মাকে জগদ্ধাত্রী রূপে পূজা করা হয়।এই উপলক্ষে এই আদিবাসী অধ্যুষিত গ্রামে বসে একটি গ্রামীণ মেলা। এদিন ভোরে বৈদিক শান্তি মন্ত্র, গীতা ও শ্রী শ্রীচন্ডী পাঠের মধ্য দিয়ে বিশেষ হোম-যজ্ঞ পরে অনুষ্ঠিত হয় কুমারী পূজা। উপস্থিত ছিলেন জেলার রামকৃষ্ণ আশ্রমের মহারাজরা এবং হাজার হাজার ভক্ত-পুণ্যার্থী। বীরভূম জেলা তথ্য ও সংস্কৃতি বিভাগের সহযোগিতায় আদিবাসী নৃত্য ও বিকেলে “ছন্নছাড়া নিত্যগোষ্ঠীর” ‘মুখোশ নৃত্য’ অনুষ্ঠিত হয়। দুপুরে অন্ততঃ দশ হাজার ভক্ত-পুণ্যার্থী একসঙ্গে প্রসাদ গ্রহণ করেন। সন্ধ্যায় এই মঞ্চে ভক্তিগীতি পরিবেশন করেন বীরভূম জেলা সমাহর্তা বিধান রায় ও তাঁর সহধর্মিনী ইন্দ্রানী রায়। রাত্রি ৮ঃ০০ টায় বীরভূম সংস্কৃতি বাহিনীর মানব পুতুল নাটক “বেহুলা লক্ষীন্দর” পালা অনুষ্ঠিত হয়। সমগ্র অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন নিবেদিতা লাহিড়ী।
উল্লেখ্য, ৫ এর দশকে ঠাকুর সত্যানন্দদেবের এই সাধনক্ষেত্র ময়ূরাক্ষী নদী সংলগ্ন নরসিংহপুরে শ্রী শ্রী রামকৃষ্ণ আশ্রম গড়ে ওঠে। শ্রী ঠাকুরের সেই নির্জন সাধন ভজনের স্মৃতি ধরে রাখতে পঞ্চবটি তলায় নির্মিত হয়েছে বেদী। ঠাকুর সত্যানন্দ অনুরাগী সিউড়ির এক কর্মকার পরিবার তাদের নিজস্ব জায়গা স্বামী সত্যানন্দদেবের সাধন তীর্থকে উৎসর্গ করেন। তখন থেকেই ঠাকুর স্বয়ং এখানে রাস উৎসব পালন করেন। সেই উপলক্ষে এই ক্ষেত্রটিকে “রাসবন” নামে চিহ্নিত করা হয়। আগামী ২৭ নভেম্বর স্বামী সত্যানন্দদেবের সাধনপীঠ পঞ্চবটীতে সারাদিন ব্যাপী হোম যজ্ঞ নাম সংকীর্তনের মধ্য দিয়ে পালিত হবে “রাস উৎসব”। একথা জানিয়েছেন আশ্রমের কর্ণধার স্বামী সারদাত্মানন্দ মহারাজ।