প্রকৃতির অকৃপণ করুণায় পানীয় জল পেয়েছে বীরভূমের খয়রাশোলের নিচিন্তা, নিঙ্গা গ্রামের মানুষজন

শম্ভুনাথ সেনঃ

জলের আর এক নাম “জীবন”! ২০২৪ সালের মধ্যে দেশের প্রতিটি বাড়িতে ব্যবহারযোগ্য জল পৌঁছে দিতে কেন্দ্রীয় সরকার “জল জীবন মিশন” নামে একটি প্রকল্প চালু করেছে। আর তেমন সময়ে বীরভূমের খয়রাশোল ব্লকের রূপুষপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের নিচিন্তা, নিঙ্গা গ্রামে নিঃখরচায় দিবারাত্রি আপনা-আপনি জল পৌঁছে যাচ্ছে পাড়ায় পাড়ায়। লাগে না কোনো শক্তি। একদা এই গ্রামে ছিল পানীয় জলের অভাব। কিন্তু টিউবওয়েলের জন্য ৫০০ ফুট গভীর খনন করতেই নির্মাণ হয়ে গেছে “আর্টেজীয় কূপ”! সেই ভূগর্ভস্থ জল এখন পাইপ লাইনের মাধ্যমে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে সারা গ্রামে। এই দুটি গ্রামে অন্ততঃ ২৬০ টি পরিবার এই পানীয় জল ব্যবহার করার সুযোগ পাচ্ছেন। নিচিন্তা গ্রামে আগেই বীরভূম জেলা পরিষদের আর্থিক সহায়তায় নির্মাণ হয়েছে পাইপলাইন। সে কথা জানিয়েছেন রুপুষপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের সেক্রেটারি শুভাশিস বাউড়ি। জলের অপচয় রুখতে লাগানো হয়েছে জলের কল। বাড়তি জল সঞ্চয় হচ্ছে গ্রামের পুকুরগুলিতে। সেই জলে হচ্ছে মাছ চাষ।বারো মাস ব্যবহৃত হচ্ছে কৃষি কাজে। তাই এই এলাকায় এবার অনাবৃষ্টি সত্ত্বেও ধান চাষ ও রবি ফসলের কোন অসুবিধা হয়নি। প্রকৃতির এই অকৃপণ করুণায় পরিশ্রুত পাণীয় জল পেয়ে খুশি ব্যক্ত করেন নিচিন্তা গ্রামের অপ্সরা মালাকার, মানিক মালাকার অলোক দাসেরা।
সন্নিহিত নিঙ্গা গ্রামের মিহির কুমার সৌ জানান তাদের গ্রামেও মাস ছয়েক আগে গ্রাম সংলগ্ন মাঠের মাঝে বোরিং করার সময়ে এই আর্টেজীয় কূপ নির্মাণ হয়ে গেছে। গ্রামে পাইপ লাইনও বসানো হয়েছে।তবে সংযোগ হলেই বাড়ি বাড়ি পৌঁছে যাবে এই জল। এখন মা মেয়েরা আপনা আপনি বয়ে যাওয়া জল নিয়ে গিয়ে ব্যবহার করছে। প্রকৃতির অকৃপণ করুণায় বিনাশক্তিতে নিঃখরচায় অনবরত জল পেয়ে এলাকার মাঠগুলিও সবুজে ভরপুর।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *