
শম্ভুনাথ সেনঃ

কৃষিনির্ভর বীরভূমে পাকা ধান যেন মৃত সঞ্জীবনী। কার্তিক মাস থেকে ধান কাটার কর্মকাণ্ড শুরু হলেও তার রেশ চলে অগ্রহায়ণের শেষ পর্যন্ত। বাড়ির খামারে-উঠোনে নতুন ধানের সুগন্ধে সারা অগ্রহায়ণ জুড়ে চলে “নবান্ন উৎসব। প্রতিবছর নতুন অন্নগ্রহণের এ এক লৌকিক প্রথা। যদিও এবার তেমনভাবে বৃষ্টি না হওয়ার কারণে অনেক এলাকায় চাষ হয়নি। নবান্ন উৎসব অনেকটাই ম্লান। তবুও চিরাচরিত প্রথা অনুযায়ী আজ ৫ অগ্রহায়ণ চিহ্নিত দিনটিতে বীরভূমের বহু গ্রামে পালিত হচ্ছে নবান্ন উৎসব। জেলার অন্যতম সতীপীঠ বক্রেশ্বর তীর্থক্ষেত্রে আজ বাবা ভৈরব বক্রনাথ ও মা মহিষমর্দিনীর কাছে ফুল, ফল, নৈবেদ্য, নতুন আতপ চালের ভোগ নিবেদনের মধ্য দিয়ে এই এলাকায় “নবান্ন উৎসব” পালিত হয়। আজ মা দুর্গা এখানে দেবী অন্নপূর্ণা। আর সেকথা জানিয়েছেন “বক্রেশ্বরের এক প্রবীন পুরোহিত কাজলকান্তি চৌধুরী। সকাল থেকেই আজ বক্রেশ্বর সতীপীঠে সমাগম হয় বহু ভক্ত-পুণ্যার্থীর। দুবরাজপুর পুরসভার এক নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা মানস দত্তমুদী সস্ত্রীক প্রতিবছর পাঁচই অগ্রহায়ণ এই বক্রেশ্বর পূণ্যভূমিতে আসেন বলে জানিয়েছেন। এদিন নবান্ন উৎসব উপলক্ষে সতীপীঠ বক্রেশ্বরে পুজো দিতে পুণ্যার্থীদের ভিড় ছিল চোখে পড়ার মত।