শম্ভুনাথ সেনঃ
আজ এরা ভিক্ষুক নয়। এক শ্রাদ্ধ বাড়িতে আমন্ত্রিত অতিথি। সারা বছর ভিক্ষাবৃত্তি করলেও আজ তাঁদের সসম্মানে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে এই শ্রাদ্ধ বাড়িতে। বীরভুমের দুবরাজপুর পুরপিতা পীযূষ পাণ্ডের পরামর্শে তাদের রবিবারের এই আমন্ত্রণ। আর এ তথ্য জানিয়েছেন পুরপিতা পীযূষ পান্ডের এক অন্তরঙ্গ বন্ধু ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা সাধন ভট্টাচার্য। সাধন বাবুর স্ত্রী বিয়োগের পর ৩ ডিসেম্বর তার বাড়িতে বাৎসরিক শ্রাদ্ধ কার্য সম্পন্ন হয়েছে। এদিন অন্ততঃ ২০০ জন ভিক্ষুককে আত্মীয় পরিজনদের মতোই আমন্ত্রণ করে দুপুরে পংক্তি ভোজনের পর তাদের হাতে তুলে দেওয়া হয় একটি করে শীতের কম্বল। উল্লেখ্য, মৃত্যুর পর আত্মীয় পরিজনদের শান্তির উদ্দেশ্যে এবং তাদের আশীর্বাদ কামনায় দান-ধ্যান অতিথি ভোজনের অনুষ্ঠান ভারতের এক প্রাচীন প্রথা। ঠিক এক বছর আগেই ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে মাত্র ৫২ বছর বয়সে মারা যান সাধন ভট্টাচার্যের স্ত্রী বুলু ভট্টাচার্য্য। কোনো ব্যক্তির মৃত্যুর এক বছর পর সপিণ্ডীকরণ শ্রাদ্ধ একটি হিন্দু আচার। আর এই শ্রাদ্ধ অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত অতিথি হয়ে ভোজনের পর এক ভিক্ষুক তার প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন।
উল্লেখ্য, দুবরাজপুর পুরশহরে সপ্তাহে মাত্র একটি দিন প্রতি রবিবার ভিক্ষুকদের ভিক্ষা দেওয়া হয়। দুবরাজপুর পুরসভার কাছে থাকা সেই তথ্য অনুযায়ী তাদেরকে আমন্ত্রণ জানানো হয়। আজ তারা সসম্মানে এই আতিথেয়তা গ্রহণ করে খুশি ব্যক্ত করেন।