শম্ভুনাথ সেনঃ
রাত পোহালেই বড়দিন। আর আজ ২৪ ডিসেম্বর রবিবার,শীতের সন্ধ্যায় সুর-ঝংকারের বন্যায় প্লাবিত হলো বীরভূমের দুবরাজপুর পুরশহর। সুর মানেই আবেগ আর আনন্দের আনাগোনা। আর সেই আবেগই কয়েক ধাপ বেড়ে যায় শহরের সংগীত রসিকরা যখন ভারতীয় শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের রস আস্বাদনের সুযোগ পান। বেশ অনেক বছর পর বীরভুমের দুবরাজপুর পুরশহরে শাস্ত্রীয় সংগীতের আসর বসে। স্থানীয় শিল্পীদের সমন্বয়ে আজ ২৪ ডিসেম্বর দুবরাজপুর নেপাল মজুমদার ভবনে আয়োজিত হলো শাস্ত্রীয় সঙ্গীত সন্ধ্যা।
শিক্ষক কুন্তলকান্তি মুখোপাধ্যায় ও নীলাদ্রি পালের হাত ছুঁয়ে প্রদীপ প্রজ্জ্বলনের মধ্য দিয়ে এই শাস্ত্রীয় সংগীতের সূচনা হয়। উদ্বোধনী নৃত্যে শিল্পী সমৃদ্ধি ঘোষ ভারতনাট্যম পরিবেশন করেন। শিল্পী জগন্নাথ ঘোষের গিটারে রাগ দরবারী সুর ছুঁয়ে দেয় শ্রোতাদের মন। বাগেশ্রী রাগে সমবেত কন্ঠ সংগীত পরিবেশনে শিশু শিল্পীরা শ্রোতাদের নজর কারে। প্রথিতযশা শিল্পী তথা সংগীত শিক্ষক রামপ্রসাদ ঘোষের হারমোনিয়ামের সুর তানপুরায় প্রগতি ঘোষের ছন্দ এনে দেয় এক অন্য মাত্রা। শিল্পী সব্যসাচী মন্ডলের বাঁশির সুর শ্রোতাদের নিয়ে যায় অন্য জগতে।কন্ঠ সংগীতে পুরিয়া ধানেশ্রী রাগ পরিবেশন করেন শহরের এক গুণী শিল্পী মৃন্ময় দত্ত।বেহালায় শিল্পী চন্দ্রচূড় পাল, দেবাশীষ মন্ডল, প্রিয়জিৎ ভট্টাচার্য, দূর্গাচরণ ঘোষ বিভিন্ন রাগ পরিবেশন করেন। শিল্পী ফটিক কবিরাজ, অসীম রুজ, শ্যামাপ্রসাদ সেনের তবলার মূর্ছনায় মেতে ওঠে সংগীত সন্ধ্যার আসর।
যন্ত্র,কণ্ঠ ও বিভিন্ন নৃত্য শিল্পীদের পরিবেশনে শাস্ত্রীয় সঙ্গীত সমঝদারদের মনে দাগ কাটে। আসলে ২০১০ সালের পর থেকে শাস্ত্রীয় সংগীতের আসর বসেনি এই পুরশহরে। তাই স্থানীয় শিল্পীদের সুরের বাঁধনে একত্রিত করার লক্ষ্যে অনেকদিন পর আবার এই শাস্ত্রীয় সংগীতের আসর বসলো বলে জানান উদ্যোক্তাদের অন্যতম শিল্পী প্রিয়জিৎ ভট্টাচার্য। এদিন সমগ্র অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনার দায়িত্বে ছিলেন সঞ্চিতা মুখার্জি।