শম্ভুনাথ সেনঃ
১ জানুয়ারি ইংরেজি নববর্ষের প্রথম দিন। বীরভূমের খয়রাশোল ব্লকের চৈতন্যপুর গীতাভবনে প্রতিবারের মতো এবারও ১ জানুয়ারী ‘কল্পতরু দিবস’ মহাসমারোহে উদযাপিত হয়। হরেকৃষ্ণ নাম সংকীর্তন, ভক্তিমূলক গান, শ্রীরামকৃষ্ণ কথামৃত পাঠ, ভাগবত কথা আলোচনা,ও অগণিত ভক্ত সেবার মধ্য দিয়ে উদযাপিত হয় দিনটি। উল্লেখ্য, ১৮৮৬ সালের এমন এক পয়লা জানুয়ারি কাশীপুর উদ্যানবাটীতে ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণদেব ভক্তদের মধ্যে কল্পতরু হয়েছিলেন। উপস্থিত হয়েছিলেন গৃহী ভক্তরা। আজ কল্পতরু উৎসবে গীতাভবনের বহু অনুরাগী ভক্তরা উপস্থিত হন।
রামকৃষ্ণদেবের প্রতিকৃতিতে মাল্য দানের মধ্য দিয়ে পার্থসারথি মঞ্চে অনুষ্ঠানের সূচনা হয়। ভক্তিমূলক সংগীত পরিবেশন করেন শিল্পী কবিরাজ, সঙ্গীত শিক্ষক জগন্নাথ দত্ত, মৃন্ময় দত্ত, শিল্পী দিশা ঘোষ, বৃষ্টি কর্মকার প্রমুখ। গীতাপাঠে অংশ নেন “আত্মার আত্মীয়” গীতা পাঠশালার কর্ণধার রামপ্রসাদ ব্যানার্জি ও দুই শিশু গীতা শিক্ষার্থী অনুষ্পা অধিকারী ও আমন মণ্ডল। এদিন প্রথিতযশা শিল্পী বীরভুমের গীতিকার রতন কাহার তার স্বরচিত গান পরিবেশন করে শ্রোতাদের মুগ্ধ করেন। গীতাভবনের প্রতিষ্ঠাতা তথা অধ্যক্ষ স্বামী সত্যানন্দ মহারাজ গীতাভবনের আগামী লক্ষ্য ও পরিকল্পনার কথা ভক্ত শিষ্যদের কাছে তুলে ধরেন। এদিন এই মঞ্চে স্থানীয় বিধায়ক অনুপকুমার সাহা, অধ্যাপক ড. রবিন ঘোষ, শিক্ষক অচিন্ত্য সিংহ প্রমুখ বক্তারা তুলে ধরেন দিনটির তাৎপর্য। ভাগবত কথা আলোচনা করেন গীতাভবনের এক অনুরাগী ভক্ত অচিন্ত মহারাজ। দুপুরে অন্ততঃ হাজার দুয়েক ভক্ত খিঁচুড়ি প্রসাদ গ্রহণ করেন।