শম্ভুনাথ সেনঃ
ইদানিং ছাত্রছাত্রীরা বড্ড বেশি মোবাইলে আসক্ত। পড়াশোনা, খেলাধুলা বাদ দিয়ে বেশিরভাগ সময়টাই যেন মোবাইল মুখী। মোবাইলে মেতে স্কুলে আসতে চাইছে না অনেক ছাত্র ছাত্রী এমন অভিযোগ শিক্ষকদের। অনেক অভিভাবকের অভিযোগ বাড়িতে পড়াশোনা না করে মোবাইলে পাবজি বা ফ্রি ফায়ার গেম খেলেই সময় কাটাচ্ছে। তবে মোবাইলের যে ভালো দিক নেই তা কিন্তু নয়। কাজে লাগাতে পারলে মোবাইল শিক্ষার প্রকৃত বন্ধু হয়ে উঠতে পারে। করোনার সময়কালীন মোবাইলে অনলাইন ক্লাস, বিভিন্ন তথ্য নিমেষের মধ্যে সংগ্রহ মোবাইল ইন্টারনেটের দৌলতেই সম্ভব। আর সেই কারণেই উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের হাতে সরকারিভাবেই তুলে দেওয়া হয়েছে মোবাইল সেট। তবে বই পড়ার আগ্রহ কমলে চলবে না। তাই শিক্ষার্থীর মানসিক বিকাশের লক্ষ্যে এবং শিক্ষাকে আকর্ষণীয় ও আনন্দদায়ক করার জন্য বর্তমানে খুব বেশী প্রয়োজন লাইব্রেরীর। বইপড়ার প্রতি শিক্ষার্থীদের আগ্রহ বাড়ানোর উদ্দেশ্যে বীরভূমের সদর সিউড়ী সংলগ্ন ‘কড়িধ্যা বিদ্যানিকেতন উচ্চ বিদ্যালয়ে’ পুরাতন লাইব্রেরীকে ঢেলে সাজানো হয়। ছাত্র-ছাত্রীদের আনন্দ সহকারে পাঠগ্রহণের জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে Reading room। সর্বাঙ্গীন সহযোগিতায় হাত বাড়িয়ে দেন বিদ্যালয়ের এক শিক্ষাকর্মী দীনবন্ধু ধীবর। পড়ুয়াদের পরামর্শ এবং দেখভাল করার দায়িত্ব নিয়েছেন বিদ্যালয়ের শিক্ষক আকাশ ঘোষ। গত ১৬ জানুয়ারি বিদ্যালয়ের এই রিডিং রুমের ফিতে কেটে আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকা তথা এবছরের প.ব. সরকারের শিক্ষারত্ন প্রাপক সুজাতা সাহা দাস। এদিন উৎসাহ উদ্দীপনায় এই অনুষ্ঠানের সাক্ষী এবং শরিক ছিলেন বিদ্যালয়ের শিক্ষক শিক্ষিকা সহ সকল পড়ুয়াড়া। মোবাইল আসক্ত ছাত্রসমাজের মানসিক সুস্থতার লক্ষ্যে মনের আদর্শ হাসপাতাল হয়ে উঠুক গ্রামীণ বিদ্যালয়ের এই ছোট্ট লাইব্রেরী কক্ষটি। এমন ভাবনা নিয়ে নতুন করে পথ চলতে শুরু করলো এই শিক্ষা নিকেতন।