শম্ভুনাথ সেনঃ
আজ শুক্লা দ্বাদশী। ২২ জানুয়ারী। সারা ভারতবাসীর কাছে এক ঐতিহাসিক দিন। মর্যাদা পুরুষোত্তম শ্রী রামচন্দ্রের জন্মভূমি অযোধ্যায় আজ রামলালার প্রাণ প্রতিষ্ঠা হল। রামভক্তিতে বিভোর বিশ্বের নানা প্রান্তের মানুষ। দেশীয় প্রযুক্তিতে নির্মিত অনন্য এক স্থাপত্যের নিদর্শন এই রাম মন্দির। কর্নাটকের বিখ্যাত মূর্তিকার অরুণ যোগীরাজ শ্রীরামের এই শিলা মূর্তি প্রতিমা নির্মাণ করেছেন। বাল্যরূপে শ্রী রামের প্রাণ প্রতিষ্ঠা সারাদেশের মানুষের কাছে সর্বকালের জন্য একটি স্মরণীয় দিন। সারা দেশ আজ রামময়। সদৃশ্য ফুল ও আলোকমালায় সাজানো হয় রাম মন্দির। পূর্ব-পশ্চিমে মন্দিরটি ৩৮০ ফুট দীর্ঘ। চওড়া ২৫০ ফুট। উচ্চতা ১৬১ ফুট। মন্দিরে রয়েছে ৩৯২ টি স্তম্ভ। ৪৪ টি দরজা। পাঁচটি মন্ডপ নির্মাণ হয়েছে মন্দিরে। সম্পূর্ণ দেশীয় প্রযুক্তিতে মন্দিরটি নির্মিত। আজ দুপুরে দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী শ্রীরামের প্রাণ প্রতিষ্ঠা করেন। উপস্থিত ছিলেন দেশ-বিদেশের বিভিন্ন সম্প্রদায়ের নানা ধর্মাবলম্বী মানুষ। এই দিনটিকে ঘিরে সারাদেশের সঙ্গে আলাদা উৎসাহ উদ্দীপনা লক্ষ্য করা যায় বীরভূমেও। জেলার বিভিন্ন প্রান্তের গ্রাম-গঞ্জের মানুষজনদের মধ্যেও ছিল আলাদা উন্মাদনা। আজ ২২ জানুয়ারী দুপুরে অযোধ্যায় রামলালার প্রাণ প্রতিষ্ঠার জন্য যখন পুজো শুরু হয়েছে তেমন সময়ে বীরভূমের তীর্থক্ষেত্র বামাক্ষ্যাপার তারাপীঠে মাতারার মন্দিরে অনুষ্ঠিত হয় শ্রীমের বিশেষ পুজার্চনা ও বিশ্বশান্তি মহাযজ্ঞ। উপস্থিত ছিলেন বিশ্বহিন্দু পরিষদের কর্মকর্তারা। লাল পোশাক পরিধান করে এই যজ্ঞে অংশগ্রহণ করেন তারাপীঠের সেবায়েতগন। প্রচুর সংখ্যক ভক্ত-পুণ্যার্থীর ভিড় হয় এই অনুষ্ঠানে। অন্যদিকে শ্রীরাম জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র ন্যস সমিতি দুবরাজপুর নগরের পক্ষ থেকে আজ দুবরাজপুর পুরশহরে একটি ধর্মীয় বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের হয়।
দুবরাজপুর পাহাড়েশ্বর রামসীতা মন্দির থেকে এই শোভাযাত্রা বেরিয়ে পুরশহর পরিক্রমা ক’রে দুবরাজপুর সারদা ফুটবল ময়দানে শেষ হয়। এই শোভাযাত্রায় অগ্রভাগে ছিলেন দুবরাজপুরের বিজেপি বিধায়ক অনুপকুমার সাহা, বিজেপির জেলা সাধারণ সম্পাদক টুটুন নন্দী প্রমুখ। এই বর্ণাঢ্য ধর্মীয় শোভাযাত্রায় বিপুল সংখ্যক সনাতনীরা অংশগ্রহণ করেন।