সেখ রিয়াজুদ্দিনঃ
গত ত্রিস্তর পঞ্চায়েত নির্বাচনে জেলার বুকে তৃণমূল কংগ্রেসের আধিপত্য থাকলেও রামপুরহাট মহকুমা এলাকায় বাম-কংগ্রেস জোট বেশকিছু পঞ্চায়েত তথা আসনে জয়লাভ করে। কিন্তু নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের প্রতি গ্রাম পঞ্চায়েত ও পঞ্চায়েত সমিতির পরিচালন স্তরে তৃণমূল কংগ্রেসের সদস্যদের স্বৈরাচারী মনোভাব, বঞ্চনা, বৈষম্য, অমর্যাদা, সীমাহীন দুর্নীতি এরূপ দশ দফা দাবির প্রেক্ষিতে বুধবার রামপুরহাট মহকুমা শাসকের নিকট ডেপুটেশন প্রদান করা হয় বাম-কংগ্রেস জোটের পক্ষ থেকে গন অভিযান সহকারে। এদিন ডেপুটেশন প্রদানের নেতৃত্বে থাকা সিপিআইএম বীরভূম জেলা সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য সঞ্জীব বর্মনের অভিযোগ- যে কোনো শুভ বুদ্ধি সম্পন্ন নাগরিকের কাছে লজ্জা। তৃণমূল কংগ্রেস, প্রশাসন মুখ্যমন্ত্রীর অনুপ্রেরণায় পরিচালিত হচ্ছে। তাদের যেহেতু লাজলজ্জা নেই, সেইহেতু এইরকম কর্মসূচিতে আসতে বাধ্য হয়েছি। তিনি আরো বলেন রামপুরহাট মহকুমায় গ্রাম পঞ্চায়েতের ১২৪৭ টা আসন রয়েছে যার মধ্যে বাম-কংগ্রেসের মিলিত জোট ২৮২ টি আসন পেয়েছে। পঞ্চায়েত সমিতির ১৫৮ আসনের মধ্যে ২৯ টি এবং জেলা পরিষদের ২০ টি আসনের মধ্যে ১ টি আসনে জয়লাভ করে সিপিআইএম, ফরোয়ার্ড ব্লক ও কংগ্রেস জোট। নির্বাচিত বাম-কংগ্রেস জোটের জনপ্রতিনিধিদের বাদ দিয়ে ওই এলাকায় কাজ করছে। জোটের জনপ্রতিনিধিদের পঞ্চায়েত, ব্লকের মধ্যে ঢুকতে বাধা দেওয়া হচ্ছে। তাদের উন্নয়নমূলক কাজের কোন খবর দেওয়া হচ্ছে না। বোর্ড মিটিং এ রেজুলেশনের কপি দেওয়া হচ্ছে না। পুরোটাই লুঠ করার জন্য এই ব্যবস্থা তৃণমূল কংগ্রেসের। বিডিও, মহকুমা শাসক থেকে শুরু করে জেলা শাসক পর্যন্ত তারা ও কার্যতঃ সহযোগিতা করছেন এই লুঠ ও স্বৈরাচার কে। আজকে মূলত তারই বিরুদ্ধে বিচার ব্যবস্থার সাহায্য নেওয়ার আগের মুহুর্তে রামপুরহাট মহকুমা শাসকের নিকট অভিযান সহকারে ডেপুটেশন প্রদান করা হয়। আমরা বিচার চেয়েছি- এই বৈষম্য, এই স্বৈরাচার, এই অমর্যাদার এবং দূর্নীতির অবসান করতে হবে।