
বিজয়কুমার দাসঃ

২০২৩ এর শেষের দিকে সাঁইথিয়ার ব্রিটিশ আমলে তৈরি পুরনো অশক্ত রেলব্রিজটি ভাঙার চূড়ান্ত প্রস্তুতির পরেও ব্রিজটি ভাঙা হয়নি। কারণ পুরসভার রবীন্দ্র ভবনে জেলা প্রশাসন ও পুর প্রশাসন প্রতিনিধিদের এক সভায় জানা যায় ব্রিজটি ভাঙার ওয়ার্ক অর্ডার হলেও ব্রিজ পুনর্নিমানের কোন ওয়ার্ক অর্ডার ছিল না। তাই তৎকালীন জেলাশাসক বিধান রায় ব্রিজ ভাঙার কাজ বন্ধ রাখতে নির্দেশ দিয়েছিলেন। জানা গেছে, ব্রিজ নির্মাণের টেন্ডার প্রকাশিত হওয়ার পর ব্রিজ ভাঙার তোড়জোর শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যে জেলায় এসেছেন নতুন জেলাশাসক পূর্ণেন্দু মাজি।
সম্প্রতি পুরসভায় এক আলোচনায় সিদ্ধান্ত হয়েছে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার পরই রেলব্রিজ ভাঙা হবে। রেল দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, কম উচ্চতার রেলব্রিজের নিচে দিয়ে বন্দে ভারত এর মত দ্রুতগামী ট্রেন যাওয়ার সমস্যা হচ্ছে। তাই অবিলম্বে রেলব্রিজ ভেঙে বেশি উচ্চতার রেলব্রিজ নির্মাণ জরুরি। নতুন জেলাশাসক জেলায় যোগ দিয়েই সাঁইথিয়া এসে পুরনো রেলব্রিজ পরিদর্শন করে পুর কতৃপক্ষের সাথে বৈঠকে বসেন।সেই বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে, রেলব্রিজ ভাঙার আগে শহরে যানজট সমস্যায় পরীক্ষামূলকভাবে ওয়ান ওয়ে ব্যবস্থা চালু করে যানজট সমস্যা পর্যবেক্ষণ করা হবে। একই সঙ্গে বিকল্প রাস্তা হিসাবে যে রেলগেট তৈরি হয়েছে তা খুলে দেওয়া হবে।
১১ ফেব্রুয়ারি মাইক প্রচার করে পুরসভা জানিয়ে দিয়েছে ১২ ফেব্রুয়ারি থেকেই শহরে পরীক্ষামূলকভাবে ৩ দিনের জন্য ওয়ান ওয়ে চালু করা হচ্ছে। পাশাপাশি খুলে দেওয়া হচ্ছে নতুন রেলগেট। এই সময়কালে রেলব্রিজ দিয়ে কোন ভারি যান চলাচল করতে পারবে না। অন্যদিকে এই পরীক্ষামূলক মহড়াকালে বিকল্প রাস্তা হিসাবে ব্যবহৃত হবে রক্ষাকালিতলা রোড ও সিনেমাহল রোড। উচ্চ মাধ্যমিক শুরুর আগেই এই পরীক্ষামূলক মহড়া শেষ হবে। কয়েকদিন পরেই উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা।ঠিক তার পরেই রেলব্রিজ ভাঙা হবে বলে রেল সূত্রে জানা গেছে। উল্লেখ করা যেতে পারে শহরের মাঝখানে অবস্থিত এই রেলব্রিজ দীর্ঘ সময় ধরে যানজটের কারণ ও ভারি গাড়ির ভার বহনে অক্ষম হয়ে শহরের গলার কাঁটা হয়ে আছে। নির্ভরযোগ্য সূত্রের খবর, নতুন রেলব্রিজের উচ্চতা যেমন বাড়বে তেমনই প্রশস্তও হবে। আপাতত পরীক্ষামূলক মহড়াপর্বের পরই শুরু হবে পুরনো রেলব্রিজ ভেঙে নতুন রেলব্রিজ নির্মাণের কাজ।
