বিশ্বভারতীতে ভারত-বাংলাদেশ দুই দেশের ছাত্র-ছাত্রীদের কণ্ঠে “আমার ভাই এর রক্তে রাঙানো ২১ ফ্রেবুয়ারি”

শম্ভুনাথ সেনঃ

বিশ্বভারতীতে আজ ২১ ফেব্রুয়ারী উদযাপিত হল “আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস”৷ অনুষ্ঠানে অংশ নেন বাংলাদেশের পড়ুয়ারাও। ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি’ গানে গানে পদযাত্রায় হাঁটেন বিশ্বভারতীর পড়ুয়ারা। পরে বাংলাদেশ ভবনে ভাষা আন্দোলনের শহীদদের স্মরণ করা হয়৷ উপস্থিত ছিলেন বিশ্বভারতীর ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য সঞ্জয় কুমার মল্লিক সহ অন্যান্য অধ্যাপকবৃন্দ।


উল্লেখ্য, ১৯৪৭ সাল থেকে ওপার বাংলায় শুরু হয় ভাষা আন্দোলন৷ যা চরমে পৌঁছায় ১৯৫২ সালে৷ ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে একুশে ফেব্রুয়ারি মাতৃভাষার জন্য পথে নামেন তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীরা৷ নির্বিচারে তাদের উপর গুলি চালায় পুলিশ। ভাষার জন্য শহীদদের স্মরণে পালিত হয় ভাষা দিবস৷ ১৯৯৯ সালে ২১ ফেব্রুয়ারি দিনটিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে ঘোষণা করে জাতি সংঘ। এদিন কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বিশ্বভারতীতে যথোচিত শ্রদ্ধায় পালিত হয় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস। আন্তর্জাতিক বাংলাদেশ ভবনে গিয়ে শহীদদের স্মরণে শ্রদ্ধা জানাতে পুষ্পার্ঘ্য নিবেদন করেন বিশ্বভারতীর ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য সঞ্জয় কুমার মল্লিক, বাংলাদেশ ভবনের আধিকারিক মানবেন্দ্র মুখোপাধ্যায়, কিশোর ভট্টাচার্য প্রমুখ৷


ওপার বাংলা থেকে বিশ্বভারতীতে পড়তে আসা ছাত্রীদের মধ্যে কথা ঘোষ, অমৃতা সরকার, ময়ূরাক্ষী সান্যাল বলেন, “ভাষা দিবসের আবেগ ও গুরুত্ব ভাষায় প্রকাশ করা যাবে না৷ বাংলাদেশের মানুষের কাছে ভাষা দিবস অন্য মাত্রা। এপার বাংলায় বা বিদেশের মাটিতে এই অনুষ্ঠান উদযাপন করতে পেরে খুবই ভালো লাগছে। যদিও এই ভাষা দিবস আজ শুধু বাংলাদেশে সীমাবদ্ধ নয়। সারা বিশ্বজুড়ে আন্তর্জাতিক ভাষা দিবস যথোচিত শ্রদ্ধায় উদযাপিত হয় দিনটি।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *