সেখ রিয়াজুদ্দিনঃ
ভাষা আন্দোলনে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে পুষ্পার্ঘ নিবেদন এবং কথা ও গানের মধ্য দিয়ে অমর একুশকে স্মরণ করা হয়। উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার জন্য কর্মসূচির অনেক কাটছাঁট করা হয়েছে। সপ্ত প্রদীপ জ্বালিয়ে সংগঠনের সপ্তম বর্ষে পদার্পণকে স্মরণীয় করে রাখতে মেগা রক্তদান শিবিরের সূচনা করেন। আয়োজক সংস্থার পক্ষ থেকে সভাপতি আব্দুল খালেক মল্লিক জানান তাদের সংস্থা ২০১৮ সালের একুশে ফেব্রুয়ারি সংগঠনের পথ চলা শুরু।নানা ঘাত প্রতিঘাতের মধ্য দিয়ে এগিয়ে চলার চেষ্টা অব্যাহত। তাদের গৃহীত কর্মসূচি গুলির মধ্যে রয়েছে দুঃস্থ ছাত্র-ছাত্রীদের সহযোগিতা করা, আদিবাসী ও প্রান্তিক পরিবারের শিশুদের নানাবিধ শিক্ষা উপকরণ জোগান দেওয়া, শিশু মনের সাংস্কৃতিক চেতনা বৃদ্ধির জন্য বিশেষ কর্মসূচি গ্রহণ, মেধা সম্মান ও সামাজিক সম্মাননা প্রদানের মাধ্যমে কৃতি ছাত্র-ছাত্রী ও সমাজের গুণীজনদের উৎসাহ প্রদান করা, থ্যালাসেমিয়া শিশু ও প্রসূতি মায়েদের রক্তের জোগান ঠিক রাখতে রক্তদান শিবিরের আয়োজন।
উল্লেখ্য সংস্থাটি কোভিডের সময় টানা দুই বছর ধরে বিনামূল্যে খাদ্য সামগ্রী, ঔষধ ও প্রায় বিনামূল্যে অক্সিজেন সরবরাহ করেছিল। ২০১৯ সালে বীরভূম ভলান্টারি ব্লাড ডোনার্স অ্যাসোসিয়েশনের হাত ধরে রক্তদান আন্দোলনে সামিল হয় প্রত্যাশা। গঠিত হয় রক্ত বন্ধনে প্রত্যাশা পরিবার নামে বিশেষ ইউনিট যার কো-অর্ডিনেটর এ আর এম পারভেজ। এই ইউনিট বিগত পাঁচ বছরে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে প্রায় ১০০ টি স্বেচ্ছা রক্তদান শিবিরের আয়োজন করেছে। এলাকার প্রায় ৫০ জন থ্যালাসিমিয়া শিশু ও প্রসূতি মায়েদের রক্তের জোগানের দায়িত্ব তারা পালন করে চলেছেন। তাদের হাতে রয়েছে প্রায় ১০০ জন লাইভ ডোনার সাপোর্ট। বোলপুর ব্লাড ব্যাংকের তীব্র রক্ত সংকটে বহুবার তারা ত্রাতার ভূমিকা পালন করতে দেখা গেছে। রাজ্য রক্তদান আন্দোলনের বিশিষ্ট নেতৃত্ব কবি ঘোষ জানান রাজ্যে রক্তদান আন্দোলনে প্রত্যাশা একটি অন্যতম নাম। বীরভূম ভোলান্টারি ব্লাড ডোনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক নুরুল হক জানান তারা প্রত্যাশার জন্য গর্ববোধ করেন। আজকের এই বিশেষ দিনে শিবিরে পুরুষ মহিলা মিলিয়ে মোট ৮৭ জন রক্ত দান করেন। রক্ত সংগ্রহ করে বোলপুর সাব ডিভিশনাল ব্লাড ব্যাংক। প্রত্যাশার এই কর্মসূচিকে সফল রুপদানে সার্বিক সহযোগিতা করেছে স্থানীয় এক সেনাবাহিনীর প্রশিক্ষণ কেন্দ্র কম্বাইন্ড স্পোর্টস একাডেমি। সংস্থার সভাপতি তার বার্তায় সকলের প্রতি শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান এবং আগামী দিনে সমাজ ও মানুষের জন্য আরো কাজ করার ইচ্ছা প্রকাশ করেন। আজকের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রাজ্য রক্তদান আন্দোলনের প্রাণ পুরুষ কবি ঘোষ, রাজেশ পালিত, মৃত্যুঞ্জয় সামন্ত, বীরভূম জেলা পরিষদের খাদ্য কর্মাধ্যক্ষ অরুণ চক্রবর্তী, রঞ্জিত মুখার্জি, সুকুমার সাহা সহ বিশিষ্ট মানুষজন। সমগ্র অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনায় ছিলেন সুবল কর্মকার ।