শম্ভুনাথ সেনঃ
শ্রী শ্রী সদগুরু স্মরণতিথি উৎসব উপলক্ষে বীরভূমের দুবরাজপুর পুরসভার রঞ্জনবাজার শ্রী শ্রী বিজয়কৃষ্ণ আশ্রমে ২৩ ফেব্রুয়ারি সকাল থেকেই শুরু হয়েছে ভজন, কীর্তন, ভক্তিকথা আলোচনা। দুপুরে কয়েক হাজার ভক্তসেবার আয়োজন করা হয়। উল্লেখ্য, ১৫ বছর পূর্বে দুবরাজপুর পুরসভার রঞ্জনবাজার বাদামবাড়ীতে এই আশ্রম গড়ে উঠেছে। প্রতিবছর ১০ ফাল্গুন শ্রী শ্রী বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামী ও তাঁর সহধর্মিণী যোগমায়াদেবীর স্মরণে এই উৎসবের আয়োজন করা হয়। এ তথ্য জানিয়েছেন আশ্রমের সেবক শ্রীচন্ডী ব্রহ্মচারী।এদিন এই উৎসবে উপস্থিত ছিলেন দুবরাজপুর শ্রী শ্রী রামকৃষ্ণ আশ্রমের শীর্ষসেবক স্বামী সত্যশিবানন্দ মহারাজ, বনহরি নিত্যানন্দ সেবাশ্রমের বিবেকানন্দ দাস বৈরাগ্য, দুবরাজপুর বিধানসভার বিধায়ক অনুপকুমার সাহা, দুবরাজপুর পুরপ্রধান পীযুষ পাণ্ডে, আশ্রম অনুরাগী অধ্যাপক ড. রবিন ঘোষ প্রমুখ। উল্লেখ্য, শ্রী বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামী ছিলেন নব্যবৈষ্ণব আন্দোলনের এক পুরোধা ব্যক্তিত্ব। সন্ন্যাস গ্রহণের পর তিনি ভক্ত-শিষ্যদের কাছে “অচ্যুতানন্দ সরস্বতী” নামে চিহ্নিত হন।
উল্লেখ্য, ১৮৪১ খ্রীস্টাব্দে নদীয়ার শিকারপুর সংলগ্ন দহকুল গ্রামে অদ্বৈত আচার্যের দশম বংশধর রূপে তিনি জন্মগ্রহণ করেন। তৈলঙ্গস্বামী, শ্রীরামকৃষ্ণদেবের সান্নিধ্যে এসেছিলেন এই কিংবদন্তি সাধক বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামী। মাত্র ৫৮ বছর বয়সে পুরীতে তিনি লোকান্তরিত হন। দেশ-বিদেশের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে রয়েছে তাঁর বহু অনুরাগী ভক্ত-শিষ্য। এই মহাসাধকের নামে বীরভূমের সতীপীঠ বক্রেশ্বর, পুরাতন বক্রেশ্বর, খয়রাশোল, আমোদপুর, তারাপীঠ ও দুবরাজপুরে এই আশ্রম গড়ে উঠেছে। এদিন সদগুরু স্মরণতিথি মহোৎসবে বহু ভক্তের সমাগম ঘটে।