বীরভূমের ইলামবাজার ব্লকের খুষ্টিগিরীতে ঐতিহ্যবাহী ঈদের নামাজ

শম্ভুনাথ সেনঃ

“রমজানের ঐ রোজার শেষে এলো খুশির ঈদ”! ইসলামী ক্যালেন্ডার অনুযায়ী “রমজান” হলো নবম মাস। এই মাস মুসলিম ধর্মাবলম্বীদের কাছে সবচেয়ে বড় পবিত্র মাস। সমগ্র বিশ্বব্যাপী মুসলিম সম্প্রদায় দীর্ঘ এক মাস ধরে এই রোজাব্রত পালন করেন। এক কথায় রোজা হল সংযম সাধনার মাস। বাক সংযম, বাহু সংযমের কথা বলেছেন নবী হযরত মহম্মদ। উল্লেখ্য, সারা দেশের সাথে বীরভূম জেলার খুষ্টিগিরী দরগাহ শরীফ প্রাঙ্গণে আজ ১১ এপ্রিল সকাল আটটা নাগাদ শুরু হয় “পবিত্র ঈদ উল ফেতরের নামাজ”। খুষ্টিগিরী সহ পার্শ্ববর্তী গ্রাম এমনকি ভিন জেলা থেকেও অজস্র মুসলিম ধর্মপ্রাণ মানুষ যথাসময়ে ঈদের নামাজে সামিল হন। দীর্ঘ এক মাস রোজাব্রত পালনের মাধ্যমে ত্যাগ-সংযম অনুশীলনের পর বাস্তবিকই এই ঈদ সবার মনে জাগিয়ে তোলে খুশির জোয়ার।

পবিত্র ঈদ উল ফেতরের নামাজ শেষে সবাই একে অপরকে আলিঙ্গন করেন, কুশল বিনিময়ে ব্যস্ত হয়ে পড়েন। সৌহার্দ্য ও সম্প্রীতির বার্তা দিয়ে সকলকে মানবতাবোধে উদ্বুদ্ধ করেন খুষ্টিগিরী দরগাহ শরীফের বর্তমান মোতাওয়াল্লী ও সাজ্জাদানেশীন হজরত সৈয়দ শাহ হাফিজুর রহমান কেরমানী সাহেব। শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন পাড়ুই থানার আধিকারিকরা। পবিত্র ঈদ উপলক্ষে পুণ্যতীর্থ খুষ্টিগিরী দরগাহ শরীফ দর্শনে ও সুফি সাধক হজরত আব্দুল্লাহ কেরমানী (রহঃ) এঁর মাজার শরীফ জিয়ারতে স্থানীয় ও দূরবর্তী এলাকা থেকে সব ধর্মের মানুষের ভিড় ছিল চোখে পড়ার মত। আজ এই পবিত্র দিনে পুণ্যার্থীদের সমাগমে খুষ্টিগিরী দরগাহ শরীফ সম্প্রীতির এক মিলনক্ষেত্রে পরিণত হয়। এই খুশির দিনে জেলাবাসীর উদ্দেশ্যে বার্তা দেন খুষ্টিগিরী দরগাহ শরীফের মোতাওয়াল্লী ও সাজ্জাদানেশীন হজরত সৈয়দ শাহ মোহাম্মদ হাফিজুর রহমান কেরমানী।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *