ঝিঙে আলুর সঙ্গে চিংড়ি দিয়ে পোস্ত,পাটশাক সহ নানা ব্যাঞ্জনে এবারও ভোগ দেওয়া হলো সিংহ বাড়ির বাসন্তী দেবীকে

দীপককুমার দাসঃ

পারিবারিক প্রথা মেনে এবারও কড়িধ্যার সিংহ পরিবারের বাসন্তী দেবীকে ঝিঙে চিংড়ি দিয়ে পোস্ত, কাঁচা ছোলা দিয়ে পাটের শাক, পাঁচ রকম ভাজা, সব্জী, বিউলির ভাল, চারা পোনা ভাজা, মেটে ভাজা, মাংসের ঝোল, মাছের টক, পায়েস ও মিষ্টির ভোগ নিবেদন করা হলো নবমীর দুপুরে। সিংহ পরিবার সূত্রে জানা যায় এই পুজো প্রায় ২৫০বছরের পুরনো। খড়ের চালা ঘরে এই পুজো বহু আগে থেকেই হতো। ১৩২০সালে কড়িধ্যায় আগুন লেগে সব পুড়ে যায়। ১৩১৬সালে ক্ষুদিরাম সিংহ বর্তমান মন্দিরের প্রতিষ্ঠা করেন। প্রথা মেনে ষষ্ঠীর দিন বোধনের মধ্যে দিয়েই সূচনা হয় এবারের বাসন্তী পুজোর। এখানে বলিদান প্রথা আছে। ক্ষুদিরাম সিংহ এর ছোট ছেলে সদানন্দ সিংহের নাতি রাজু সিংহ বলেন, আমাদের এখানে বাসন্তী দেবীকে কুচো চিংড়ি দিয়ে ঝিঙে আলু পোস্ত ভোগে দেওয়া হয়। এছাড়া মেটে ভাজা, চারাপোনা ভাজা, পাঁচ রকম ভাজা সহ মোট সাতরকমের ভাজা দেওয়া হয়। সঙ্গে থাকে কাঁচা ছোলা দিয়ে পাটের শাক, বিউলির ভাল, মাংসের ঝোল, মাছের টক, পায়েস ও মিষ্টি।আগে মিষ্টির বদলে জিলিপি দেওয়া হতো। এখন সেটার বদলে রসগোল্লা দেওয়া হয়। যতদিনের পুজো ততদিন ধরে এই ভাবেই ভোগ নিবেদন হয়ে আসছে। পুর্বপুরুষদের থেকে এইসব ব্যাঞ্জন সহকারে ভোগ দেওয়া দেখে এসেছি। আমরা সেই ধারায় কোন বদল আনিনি। পুর্বপুরুষদের ডাকে ডাক মিলিয়ে চলছি। সিংহ পরিবারের আরেক সদস্য বিবেকানন্দ সিংহ বলেন, পুর্বপুরুষদের মুখে শুনেছি কড়িধ্যা গ্রামের যখন সৃষ্টি তখনই এই পুজোর সৃষ্টি।কড়িধ্যা গ্রামে ১৩১০সালে ভয়াবহ আগুনে সব পুড়ে যায়। এই অগ্নিকাণ্ডের বহু আগে থেকেই এই পুজো হয়ে আসছে। অগ্নিকাণ্ডের পর ক্ষুদিরাম সিংহ শ্রী শ্রী বাসন্তী মাতার পাকা মন্দির তৈরি করেন। কড়িধ্যার ভুঁইফোড় তলার শিবমন্দিরও ওনার উদ্যোগে গড়ে উঠেছিল। বাসন্তী পুজো উপলক্ষে অষ্টমী ও নবমী তিথিতে অন্নভোগের প্রসাদ গ্রহণ করেন বহু মানুষ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *