
শম্ভুনাথ সেনঃ
আজ ২৫ শে বৈশাখ। বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের শুভ জন্মদিন। দেশ-বিদেশের সাথে চিরাচরিত প্রথা অনুযায়ী বীরভূমে কবিগুরুর শান্তিনিকেতনে গৌড় প্রাঙ্গনে বৈতালিকের মধ্যে দিয়ে কবিগুরুর ১৬৩ তম জন্মজয়ন্তী দিনভর নানা অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে উদযাপিত হয়। ব্রাহ্মমন্দির উপসনা গৃহে বৈদিকমন্ত্র পাঠ রবীন্দ্রসঙ্গীত গেয়ে গুরুদেবের জন্মজয়ন্তী উদযাপনে মেতে ওঠে বিশ্বভারতী। বিশ্বভারতীর আচার্য তথা দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বাংলা ভাষাতে “X” হাণ্ডেল এ পোষ্ট ক’রে রবীন্দ্র জন্মজয়ন্তীতে কবিগুরুর প্রতি শ্রদ্ধার্ঘ্য নিবেদন করেছেন। এদিন শান্তিনিকেতনে বিশেষ উপাসনার মধ্য দিয়ে সূচনা হয় আজকের এই অনুষ্ঠান। উপস্থিত ছিলেন বিশ্বভারতী ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য সহ আশ্রমিক, ছাত্র-ছাত্রী ও অধ্যাপকরা। এদিন যথাযথ মর্যাদায় কবি গুরুকে স্মরণ করা হয় একেবারে শান্তিনিকেতনের ঘরনায়। ভোরে বৈতালীক ও উদয়ন বাড়ি থেকে বাজানো হয় কবি কণ্ঠ। কাঁচ মন্দিরে ব্রহ্ম উপাসনার পর মাধবী বিতানে অনুষ্ঠিত হয় জন্মোৎসবের অনুষ্ঠান। সেখানে তাঁর গাওয়া গান, কবিতা দিয়ে ছাত্র-ছাত্রী, আশ্রমিক, অধ্যাপকরা স্মরণ করেন কবিকে। উল্লেখ্য, রবীন্দ্রনাথের জীবদ্দশায় অবশ্য পয়লা বৈশাখ পালিত হতো কবির জন্ম উৎসব। কবি নিজেই এই প্রথা চালু করেছিলেন। জলকষ্ট ও দাবদাহের জন্য সেই সময় আশ্রম, বিদ্যালয় ছুটি দেওয়া হতো। পঁচিশে বৈশাখ ছুটি থাকতো, সেই জন্য তার আগেই জন্মোৎসব উদযাপন করার প্রথা চালু করেছিলেন কবি নিজেই। পরবর্তীকালে ২৫ শে বৈশাখ আর বিশ্বভারতীকে ছুটি দিতে হয় না সেই জন্য এখন সারা বিশ্বের সাথে কবিগুরুর শান্তিনিকেতনে পঁচিশে বৈশাখ রবীন্দ্র জন্মজয়ন্তী উদযাপিত হয় এক আলাদা মাত্রায়।