শম্ভুনাথ সেনঃ
বুদ্ধ পূর্ণিমাকে কেন্দ্র করে অনুষ্ঠিত হয় বহু প্রাচীন এই ধর্মরাজ পুজো। সেই সঙ্গে বীরভূমের সবচেয়ে বড় “চড়ক মেলা” বসে দুবরাজপুর ব্লকের মেটেলা গ্রামে। এই পুজো কত বছরের পুরোনো তা বলা বড় কঠিন। তবে এই পুজোকে ঘিরে গ্রামীণ সংহতি রক্ষায় এক লোকায়ত উৎসবে পরম্পরায় মেতে ওঠেন গ্রামের মানুষজন। মেটেলা সন্নিহিত গুন্ডোবা, খয়েরবন, বনহরি, বেলবুনি, বক্রেশ্বর, ঝাঁপরতলা, রাজগঞ্জ, করমকাল, পণ্ডিতপুর এমন ১০-১২ টি গ্রামের মানুষ মিলিত হন ধর্মরাজ মন্দিরে। মায়েরা নৈবেদ্য সাজিয়ে মাথায় নিয়ে মন্দিরে পুজো দেন। আজ সকাল থেকেই গ্রামের নবনির্মিত মন্দিরে চলে পুজো-পাঠ, হোম-যজ্ঞ। এখোনো সেই প্রাচীন প্রথা অনুযায়ী এই পুজোকে কেন্দ্র করে দেওয়া হয় ছাগবলি। এই উপলক্ষে বসেছে দুদিনের গ্রামীণ “চড়ক মেলা”। ধর্মরাজ পুজোকে কেন্দ্র করে শ’য়ে শ’য়ে মানুষ উপবাসী থাকেন। চিরাচরিত প্রথা অনুযায়ী দেয়াশীদের এই কৃচ্ছ সাধনের মধ্য দিয়ে জিহ্বায়, পিঠে বান ফোড়া হয়। সারারাত ধরে চলে অনুষ্ঠান। গ্রামেরই লবাঁধ পুকুরে চড়ক গাছ তুলে আনা হয়। তা দেখতে হাজার হাজার মানুষ ভিড় জমায়। ধর্মরাজ পুজো উপলক্ষে প্রতিটি বাড়িতেই আত্মীয়-স্বজনের ভিড়। গ্রামের সবচেয়ে বড় উৎসব এই ধর্মরাজ পুজো। এই মিলন মেলার জন্য বছরভর অপেক্ষায় থাকেন এলাকার মানুষজন।