“বিশ্ব তামাক বর্জন দিবস” উদযাপন বীরভূমের দুবরাজপুর গ্রামীণ হাসপাতালে

শম্ভুনাথ সেনঃ

৩১ মে দিনটি “বিশ্ব তামাক বর্জন দিবস” হিসেবে চিহ্নিত। সারা দেশ, গোটা রাজ্যের সাথে আমাদের বীরভূম জেলাতেও দিনটি উদযাপিত হয়। উল্লেখ্য, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ১৯৮৭ সালে প্রথম তামাক সেবনের বিপদজ্জনক প্রভাব সম্পর্কে সচেতনতা বাড়াতে বিশ্ব তামাকমুক্ত দিবস উদযাপনের ঘোষণা করে। ১৯৮৮ সালের ৩১ মে থেকে প্রতিবছর “বিশ্ব তামাক বর্জন দিবস” হিসেবে দিনটি পালিত হয়। ২০২৪ এ এবারের থিম ছিল “তামাক শিল্পের হস্তক্ষেপ থেকে শিশুদের রক্ষা করা।” এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার”–কবি সুকান্ত ভট্টাচার্যের সেই কথাগুলিকে স্মরণ করে বীরভূমের দুবরাজপুর ব্লক গ্রামীণ হাসপাতাল, বালিজুড়ি, বক্রেশ্বর যশপুর, যাত্রা প্রাইমারি স্বাস্থ্য কেন্দ্র সহ এলাকার ৩৯ টি সুস্বাস্থ্য কেন্দ্র, উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রে দিনটি যথাযোগ্য মর্যাদায় পালন করা হয় বলে জানিয়েছেন দুবরাজপুর ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক ডাঃ সলমান মন্ডল। “বন্ধ কর তামাক সেবন, রক্ষা কর শিশুর জীবন” এমন প্রতিপাদ্য নিয়ে তামাকের ক্ষতিকারক প্রভাব সম্পর্কে সাধারণ মানুষজনদের মধ্যে সচেতনতা গড়ে তুলতে যাতে তামাক, গুটকা, মশলা, বিড়ি, সিগারেট সহ অন্যান্য তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার না করেন সেই বার্তা তুলে ধরা হয়। তামাক ব্যবহারের ফলে ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, ফুসফুসের সমস্যা থেকে শুরু করে মুখগহ্বরের ক্যান্সার, ফুসফুস ক্যান্সার, মূত্রথলি, অন্ত্র, মস্তিষ্ক ক্যান্সার এর ক্ষেত্রে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে কিভাবে প্রভাব ফেলে সেই বার্তা দেন হাসপাতালের চিকিৎসকরা। বিশেষ করে তরুন প্রজন্ম, শিশুরা যাতে ধূমপানের দ্বারা ক্ষতিগ্রস্ত না হয় সে বিষয়েও বার্তা দেওয়া হয়। স্থানীয় দোকানগুলিতে যাতে শিশুদের কাছে বিড়ি, খৈনি বিক্রি করা বন্ধ করেন সেই পরামর্শ দেন স্বাস্থ্যকর্মীরা। ব্লকের সুস্বাস্থ্য ও উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলিতে স্থানীয় অঙ্গনওয়াড়ি, আশা কর্মী, এ.এন.এম, জি. এন.এম দিদিরা এলাকার মানুষকে তামাক সেবনের কুফল সম্পর্কে সচেতন করেন। এদিন দুবরাজপুর গ্রামীণ হাসপাতালে উপস্থিত ছিলেন ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক ডাঃ সলমান মণ্ডল, রামপুরহাট মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের অ্যাসিস্ট্যান্ট সুপারিনটেনডেন্ট ডাঃ সুস্মিত ভট্টাচার্য, স্থানীয় মেডিকেল অফিসার ডাঃ নাসিম চৌধুরী, ডেন্টাল সার্জেন্ট চিকিৎসক সুশ্রুত চক্রবর্তী ছাড়াও দুবরাজপুর হাসপাতালের অন্যান্য স্বাস্থ্যকর্মীরা দিনটি উদযাপনে অংশগ্রহণ করেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *