শম্ভুনাথ সেনঃ
চিকিৎসকের ভুল অপারেশনের কারণে রোগীকে মাশুল গুণতে হয়েছে। ভুল অপারেশন করা সত্ত্বেও চিকিৎসক রোগীকে স্পষ্ট বলেছিলেন, যা পারেন করে নেবেন। শেষ পর্যন্ত আদালতের দ্বারস্থ হয় বীরভূমের দুবরাজপুর পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের রঞ্জনবাজারের বাসিন্দা সর্বাশিষ মুখোপাধ্যায়। অবশেষে ৩ বছর পর অভিযুক্ত চিকিৎসক ও নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষকে ১৯ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণের নির্দেশ দিয়েছে বীরভূমের সিউড়ি ক্রেতা সুরক্ষা আদালত। উল্লেখ্য, সর্বাশিষ মুখোপাধ্যায় একজন মেডিকেল রিপ্রেজেন্টেটিভ। কাজে বেড়িয়ে ২০২১ সালের ২ সেপ্টেম্বর বর্ধমানের উখড়া সংলগ্ন এলাকায় তার বাইক দুর্ঘটনা ঘটে। বাঁ হাত ভেঙে টুকরো হয়ে যায়। ভর্তি হয় পশ্চিম বর্ধমানের রানীগঞ্জ সংলগ্ন একটি নার্সিংহোমে। স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের মাধ্যমেই তার অপারেশন হয়। কিন্তু ডাক্তারবাবু ভুল অপারেশনের জন্য দীর্ঘদিন ধরে রোগীকে ভুগতে হয়। পরে অবশ্য অন্য হাসপাতালে অপারেশন করে সুরাহা পান। ২০২৩ সালের মার্চ মাসে ওই নার্সিংহোম এবং চিকিৎসকের গাফিলতির কথা জানিয়ে ক্রেতা সুরক্ষা আদালতের দারস্থ হন তিনি। দীর্ঘদিন ধরে ২ বিচারক সুদীপ মজুমদার ও শাশ্বতী সাহার বেঞ্চে মামলাটি চলে। শেষ পর্যন্ত গত ৭ জুন, ২০২৪ মামলাটির রায় দেন আদালত। অভিযোগকারীর আইনজীবী সুব্রত মুখোপাধ্যায় জানিয়েছেন সিয়ারশোল রয়েল কেয়ার হসপিটাল কর্তৃপক্ষ এবং দুই চিকিৎসক দীনেশ আগরওয়াল ও গোপাল আগরওয়াল কে দেড় মাসের মধ্যে ১৯ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণের নির্দেশ দিয়েছে আদালত।