বছরব্যাপী অঙ্গণ নাটকের সূচনাপর্ব সপ্তপ্রদীপের ত্রিকূটকন্যায়

নয়াপ্রজন্ম প্রতিবেদনঃ

সাঁইথিয়া থেকে প্যাটেলনগর যাওয়ার পথে বাঁ দিকে ঘুরে ময়ূরাক্ষী নদীর বাঁধ ধরে গেলেই পৌঁছনো যায় সাঁইথিয়া ব্লকের দেরিয়াপুর পঞ্চায়েতের ত্রিকূটকন্যায়। জেলার ধর্মীয় ইতিহাসে স্থানটি অবশ্য শঙ্খেশ্বরীতলা নামে পরিচিত। গাছ গাছালির মাঝে ময়ূরাক্ষী নদীর কোল ছুঁয়ে এখানে আছে শঙ্খেশ্বরীর মন্দির। ভবানীপুর সপ্তপ্রদীপ সেখানেই গড়ে তুলেছে ত্রিকূটকন্যা মুক্ত নাট্য অঙ্গণ। এলাকা রক্ষণাবেক্ষণ সহ বৃক্ষরোপণ, গাছের পরিচর্যা ইত্যাদি নানা উদ্যোগের পাশাপাশি থিয়েটারচর্চা। সেখানেই সপ্তপ্রদীপ উদ্যোগ নিল বছরব্যাপী থিয়েটার চর্চার।


১৪ জুন বিকেলে সেই উদ্যোগের প্রারম্ভিক পর্বে উপস্থিত ছিলেন জেলার বিশিষ্ট নাট্যজন বিজয়কুমার দাস, ভিন্নধারার নাটকের অন্যতম প্রতিপালক বল্লভপুর ইন্দ্রিয় নাট্যদলের কর্ণধার হিমাদ্রিশেখর দে, এলাকার বিশিষ্ট জন গঙ্গাধর মন্ডল, সাধন মুখার্জী প্রমুখ। এই সাধন মুখার্জীর প্রচেষ্টাতেই শঙ্খেশ্বরীতলার পরিচর্যার দায়িত্ব পেয়েছে সপ্তপ্রদীপ। আর উপস্থিত ছিল বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল ছাত্রছাত্রী। যারা এসেছিল এখানকার পরিবেশ,পরিস্থিতি,প্রকৃতি, সমাজ ও সংস্কৃতি নিয়ে জানতে।
হিমাদ্রিশেখর দে অঙ্গণ থিয়েটার প্রসঙ্গে কিছু মূল্যবান কথা বলার পর সেই মুক্ত অঙ্গণে, খোলা আকাশের নিচে সপ্তপ্রদীপ পরিবেশন করল তাদের “দহনকাঁটা” নাটক। বেশ ভাল উপস্থাপনা। এরপর বল্লভপুর ইন্দ্রিয় নাট্যদল পরিবেশন করল “হাংরি” নামে একটি নির্বাক নাটক। যে নাটকে নিজেদের নিঙড়ে দিয়ে চমকে ওঠার মত নাটক পরিবেশন করল ইন্দ্রিয়র ৪-৫টি ছেলেমেয়ে। দর্শকের সংখ্যা ছিল বেশ ভাল। আয়োজকদের পক্ষে সুব্রত ঘটক জানালো, সারা বছর নানা দলের নাটক হবে নদীতীরের এই ত্রিকূটকন্যায়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *