শম্ভুনাথ সেনঃ
বীরভূমের বুক চিরে দু’দশক আগেই নির্মাণ হয়েছে ১৪ নং জাতীয় সড়ক। কিন্তু এই সড়কে স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে নির্মিত বক্রেশ্বর সেতুর ভগ্নদশা। সিউড়ি-দুবরাজপুর রুটে চিনপাই সংলগ্ন এই জাতীয় সড়কে ফাটল ধরা বক্রেশ্বর সেতুর উপর দিয়েই দৈনন্দিন হাজার হাজার যান চলাচল হয়। কত স্কুল বাস প্রতিদিন এই ভয়ঙ্কর সেতুর উপর দিয়ে পারাপার হয় আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের পড়ুয়াদের নিয়ে। বক্রেশ্বর নদীর উপর এই ব্রীজটাকে দেখেই ভয় লাগে, তবুও চোখ বন্ধ করে সবাই পেরিয়ে যায় নিত্যদিন। হয়তো বা কোনো বড় দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে এমন আশঙ্কাও করে অনেকেই। তবুও এই কঙ্কালসার সেতুর উপর জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পারাপার। বহুদিন ধরেই সেতুর বেহাল অবস্থা। সেতুর দেওয়ালে ধরেছে ফাটল। সেতুর উপরের অংশটা খানাখন্দে ভরা।
বিপজ্জনক ওই সেতুর উপর দিয়েই প্রতিদিন হাজার হাজার ছোট-বড় যানবাহন পারাপার করে চলেছে। সংশ্লিষ্ট দপ্তরের দায়সারা সতর্কবার্তা সাইনবোর্ড “ভারী যান চলাচলে সাবধান”! সেতুটি সংস্কারের অভাবে কঙ্কালসার অবস্থা। আতঙ্ককে সঙ্গী করেই নিত্যদিনের যাতায়াত এই ১৪ নং জাতীয় সড়কে। এই রাস্তা দিয়েই প্রতিদিন কলকাতা, বর্ধমান, আসানসোল, দুর্গাপুর, বাঁকুড়া, পুরুলিয়া এমন শত শত সরকারি বেসরকারি বাস যাত্রা করে। তাছাড়া এই পথেই ওভারলোডিং বালি ও পাথর ভর্তি হাজার হাজার লরি পারাপার হয়। পথ চলতি সাধারন মানুষজনদের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে স্বাধীনতা পরবর্তীতে নির্মিত এই সেতুটি বেহাল অবস্থা। সেতুর গায়ে দেখা দিয়েছে ফাটল। সামান্য বৃষ্টিতেই সেতুর উপরের থাকা গর্তে জল জমে আরও ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠে। প্রশাসনের কর্তা ব্যক্তিরাও এই পথ ধরেই নিত্যদিন যাতায়াত করলেও সবাই নজর এড়িয়ে পেরিয়ে যান। সেতুটি পুনঃনির্মাণ হবে কবে সেই অপেক্ষাতেই দিন গুনছেন বীরভূম বাসী।