নয়াপ্রজন্ম প্রতিবেদনঃ
বর্তমান সময়ে এক বড় সমস্যা যা আইন করেও নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন হচ্ছে। বিভিন্ন সরকারি বেসরকারি নানা উদ্যোগ নিলেও পরিসংখ্যান বলছে এই সমস্যা ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে। তাই জনসচেতনতাই প্রধান হাতিয়ার বলে মনে করছেন সরকারি বেসরকারি বিভিন্ন সমাজ সেবী সংগঠন। বাল্যবিবাহ, শিশুশ্রম, যৌন হেনস্তা, লিঙ্গ বৈষম্য ইত্যাদির প্রতিরোধ এবং নারীশিক্ষা ও নারী শক্তির প্রসার ইত্যাদির বিষয়কে কেন্দ্র করে নেহেরু যুব কেন্দ্রের উদ্যোগে ও ইউনিসেফের সহযোগিতায় গত ২৩ শে জুলাই, সিউড়ি ১ নম্বর ব্লকের মল্লিকপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত দুটি স্থানে জনসচেতনতা মূলক কর্মসূচির আয়োজন করা হলো, যথা গোবিন্দপুর গ্রামের কবি নজরুল শিক্ষা নিকেতন ও আম্রপালন গ্রামের মল্লিকপুর পঞ্চায়েত অফিস চত্বর প্রাঙ্গনে।
দুটি স্থানেই সূচনা পর্বের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন নেহেরু যুব কেন্দ্রের আধিকারিক রায়া দাস, তাঁকে অনুষ্ঠানে উত্তরীয় ও পুষ্পার্ঘ্যে বরণ করে নেওয়া হয়। উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সহ মল্লিকপুর গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান, পঞ্চায়েত সদস্য ও অন্যান্য বিশিষ্টজনেরা। উপস্থিত অতিথিরা প্রারম্ভিক বক্তব্যে উপরিউক্ত বিষয়গুলি সম্পর্কে বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রী সহ উপস্থিত অভিভাবক অভিভাবিকা ও গ্রামবাসীদের অবহিত করেন।
দুটি স্থানেই উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের পর পরিবেশিত হয় সিউড়ি ইয়ং নাট্য সংস্থা প্রযোজিত জরুরী পথ নাটক ‘মনের আলো’। নির্মল হাজরা রচিত ও নির্দেশিত নাটকটি বাল্যবিবাহ, শিশুশ্রম, শিশু যৌন হেনস্থা, লিঙ্গ বৈষম্য ইত্যাদি প্রতিরোধে সুন্দরভাবে বার্তা দেওয়ার পাশাপাশি নারীশক্তির প্রসার ও নারী শিক্ষার অগ্রগতি ইত্যাদির দুর্দান্ত ছবি নাটকটিতে তুলে ধরা হয়। নাটকে অংশগ্রহণকারী
শম্পা দাস, মেঘা মুখার্জি, সীমা দাস, অর্চিতা ধর, কৃষ্ণকলি গোস্বামী, স্বর্ণদ্বীপ দাস, শেখ রফিকুল ও নির্মাল্য সোম প্রমূখ অভিনেতা-অভিনেত্রীদের অভিনয় উপস্থিত অতিথিবৃন্দ সহ সকল ছাত্র-ছাত্রী ও গ্রামবাসীদের মুগ্ধ করে। এদিন দুটি স্থানেই দর্শক হিসেবে বহু মানুষের ভিড় লক্ষ্য করা যায়। স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান, অন্যান্য সদস্যবৃন্দ ও দর্শকবৃন্দরা নেহেরু যুব কেন্দ্রের এমন উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে প্রশংসা করেন।