শম্ভুনাথ সেনঃ
এবারও ৮ শ্রাবণ (২৪ জুলাই) সাড়ম্বরে নানা অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে উদযাপিত হলো কথাসাহিত্যিক তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়ের ১২৭ তম জন্মজয়ন্তী ও স্মৃতি তর্পণ অনুষ্ঠান। পশ্চিমবঙ্গ বাংলা আকাদেমির উদ্যোগে লাভপুর পঞ্চায়েত সমিতি ও বীরভূম সংস্কৃতি বাহিনীর সহায়তায় লাভপুর ধাত্রীদেবতায় পালিত হয় তারাশংকর বন্দ্যোপাধ্যায় এর ১২৭তম জন্মজয়ন্তী উৎসব। উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট সাহিত্যিক অমর মিত্র ও সাদিক হোসেন সহ বাংলা আকাদেমির প্রতিনিধি শুভময় মণ্ডল, বীরভূম জেলা তথ্য ও সংস্কৃতি আধিকারিক অরিত্র চক্রবর্তী, স্থানীয় লাভপুর ব্লকের সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক শিশুতোষ প্রামাণিক, তারাশংকর পৌত্র অমল শংকর বন্দ্যোপাধ্যায়, প্রবীণ ব্যাক্তিত্ব তারাশংকর বন্দ্যোপাধ্যায় এর জীবন্ত চরিত্র ডাঃ সুকুমার চন্দ্র, প্রবীণ শিক্ষক হরিপ্রসাদ সরকার এমন বহু তারাশঙ্কর অনুরাগী ব্যক্তিত্বরা।
সকালে স্থানীয় বিদ্যালয়গুলির পড়ুয়াদের নিয়ে শুরু হয় প্রভাতফেরী। বেলা দশটায় ধাত্রীদেবতায় অনুষ্ঠিত হয় মূল উদ্বোধনী অনুষ্ঠান। কথাসাহিত্যিকের সূতিকাগৃহে প্রদীপ প্রজ্জ্বলন ও মূর্তিতে মাল্যদান করা হয়। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তারাশংকর পৌত্র অমল শংকর বন্দ্যোপাধ্যায় তারাশংকরের কিছু ব্যবহারিত সামগ্রী তুলে দেন বীরভূম সংস্কৃতি বাহিনীর হাতে। পরে তারাশংকর বন্দ্যোপাধ্যায় এর জীবন কথা সম্পর্কে বক্তব্য রাখেন দুই সাহিত্যিক অমর মিত্র ও সাদিক হোসেন।
এদিন তারাশংকর রচিত গান পরিবেশন করেন বিশিষ্ট বাউল শিল্পী কার্তিক দাস বাউল। দুপুরে সকলের জন্য দ্বিপ্রাহরিক আহারের ব্যবস্থা ছিল। তারপর বীরভূম জেলার কবি সাহিত্যিকদের নিয়ে শুরু হয় সাহিত্য সভা। বিকালে তারাশংকর এর গান পরিবেশন করেন স্থানীয় শিল্পী সৌমেন মজুমদার, মৌমিতা মুখোপাধ্যায়, চুমকি রুজ ও প্রিয়ব্রত চক্রবতী প্রমুখ। ২৩ জুলাই অনুষ্ঠিত লাভপুর ব্লকের পড়ুয়াদের নিয়ে তারাশংকর বিষয়ক ক্যুইজ ও প্রবন্ধ প্রতিযোগিতা পুরস্কার এদিন তুলে দেওয়া হয়। সন্ধ্যায় তারাশংকর বন্দ্যোপাধ্যায় এর কালজয়ী উপন্যাস নাগিনী কন্যার কাহিনীকে উপজীব্য করে উজ্জ্বল মুখোপাধ্যায় এর রচনা ও নির্দেশনায় বীরভূম সংস্কৃতি বাহিনী পরিবেশন করে নাটক “নাগিনী কন্যার কাহিনী”। সমগ্র অনুষ্ঠানটির দায়িত্বে ছিল বীরভূম সংস্কৃতি বাহিনী কর্ণধার তথা শিক্ষক ড: উজ্জ্বল মুখোপাধ্যায়।