শম্ভুনাথ সেনঃ
বীরভূমের ময়ূরেশ্বর চক্রের “উলকুণ্ডা প্রাথমিক বিদ্যালয়ে” আজ ২ রা আগষ্ট যথাযথ মর্যাদায় বিজ্ঞান সাধক আচার্য প্রফুল্ল চন্দ্র রায়ের ১৬৩ তম জন্মজয়ন্তী উদযাপিত হয়। প্রথমেই এই মানব হিতৈষী বিজ্ঞানীর প্রতিকৃতিতে ফুল আর মালা দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন বিদ্যালয়ের শিক্ষক শিক্ষিকা ও ছাত্র-ছাত্রীরা। বিজ্ঞানীর পড়াশুনা, বিজ্ঞান গবেষণার নানা দিক,তাঁর কর্মজীবন ও আদর্শ ছাত্র-ছাত্রীদের কাছে তুলে ধরেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সুকুমার গঁড়াই। উল্লেখ্য, ১৮৬১ খ্রীষ্টাব্দের এমনই এক ২ আগষ্ট এই বাঙালি বিজ্ঞানী জন্মেছিলেন বর্তমান বাংলাদেশের খুলনা জেলার রাডুলি গ্রামে। ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে বিজ্ঞান চেতনার উন্মেষ ঘটাতে বিজ্ঞানী প্রফুল্ল চন্দ্র রায়ের জন্মদিনটি ঘিরে ছাত্র-ছাত্রীদের নিয়ে আকর্ষণ যোগ্য এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। আলোচনায় ছাত্র-ছাত্রীদের কাছে তুলে ধরা হয় এই বাঙালি বিজ্ঞানীর জীবনবেদ। নৃত্য, কবিতা, গান,বক্তৃতা ও আলোচনার মাধ্যমে এই দিনটি উৎসাহের সঙ্গে পালন করে ছাত্র-ছাত্রীরা। উল্লেখ্য, এই বিজ্ঞানী শুধুমাত্র রসায়নবিদ বা শিক্ষকই ছিলেন না, ছিলেন দার্শনিক ও কবি। ভারতীয় রসায়ন গবেষণা চর্চার তিনি ধারক, বাহক। “বেঙ্গল কেমিক্যালে’র” তিনি প্রতিষ্ঠাতা। ২১ বছর বয়সে বিলেতের স্কটল্যান্ডের “এডিনবার্গ বিশ্ববিদ্যালয়” থেকে রসায়ন শাস্ত্র নিয়ে তিনি অধ্যায়ন করেন। সারাটা জীবন কাটিয়ে দেন বিজ্ঞান সাধনায়। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন শিক্ষার উন্নতিকল্পে সেই সময় তিনি দু’লক্ষ টাকা দান করেন। প্রফুল্ল চন্দ্র রায় প্রকৃতই ছিলেন একজন বিজ্ঞান সাধক, মানবদরদী ব্যক্তিত্ব। তিনি ছিলেন চিরকুমার। ১৯৪৪ খ্রীস্টাব্দের ১৬ জুন কলকাতায় বিজ্ঞানী প্রফুল্ল চন্দ্র রায়ের প্রয়াণ ঘটে।