শম্ভুনাথ সেনঃ
পরীক্ষা হলে মোবাইল নিয়ে ঢোকা নিষিদ্ধ। তবুও বীরভূমের সিউড়িতে নার্সিং প্রবেশিকা ANM ও GNM পরীক্ষা দিতে এসে পরীক্ষা হলে তল্লাশি চালাতেই পরীক্ষার্থীদের কাছ থেকে উদ্ধার হয় ১২ টি মোবাইল। কারও অন্তর্বাসের ভিতর, কারো বা জুতোর তলায় লুকানো ছিল মোবাইলগুলি। উল্লেখ্য, গতকাল ৪ আগস্ট, রবিবার ঘটনাটি ঘটেছে বীরভূমের সদর সিউড়ির বেনীমাধব ইনস্টিটিউশনে। পরীক্ষাকেন্দ্রে ঢোকার সময় প্রথম পর্যায়ে যে চেকিং হয়, তখন সেভাবে নজর পড়েনি কর্তৃপক্ষের। তবে হলের ভিতর পরীক্ষা শুরু হতেই কিছুক্ষণ পর বেশ কয়েকজন পরীক্ষার্থীকে দেখে সন্দেহ হয় পরিদর্শকের। তখনই এক মহিলা পুলিশকে ডেকে তল্লাশি চালাতেই পরীক্ষার্থীদের এই কুকীর্তি ধরা পড়ে। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সুজয় কুমার চট্টোপাধ্যায় এই অভিনব কুকীর্তির কথা জানিয়েছেন। তিনি জানান, প্রথম তল্লাশিতে কেউ ধরা পড়েনি ‘দ্বিতীয় দফায় মেটাল ডিটেক্টর দিয়ে তল্লাশি চালানোর সময় দেখা যায়, কেউ হিল তোলা চটির নীচের অংশ কেটে তার ভেতরে মোবাইল ঢুকিয়ে এনেছেন। কেউ আবার শরীরের অন্তর্বাসের ভিতর মোবাইল লুকিয়ে এনেছেন। তবে সবকটি ফোন পুরানো দিনের কি-প্যাড যুক্ত ফোন।’ প্রধান শিক্ষকের দাবি, কেবলমাত্র মালদা জেলা থেকে যে সকল পরীক্ষার্থীরা পরীক্ষা দিতে এসেছিলেন তাদের কাছ থেকেই এমন কিপ্যাড ফোন উদ্ধার হয়েছে। এদিন সিউড়িতে আরো কয়েকটি স্কুলে এমন নার্সিং প্রবেশিকা পরীক্ষা হয়েছে। কিন্তু বেণীমাধব স্কুল ছাড়া এমন ঘটনার খবর অন্য কোনো পরীক্ষা কেন্দ্রে অবশ্য পাওয়া যায়নি।