শম্ভুনাথ সেনঃ
দীর্ঘদিনের দাবি ছিল বীরভূমের দুবরাজপুর পৌরশহরের সঙ্গে গ্রামীণ রাস্তার সংযোগ। দুবরাজপুর ব্লকের ধরমপুর, মদনপুর, ডোমনাই, সেকপুর, নপাড়া, পাইগড়া এমন সব গ্রামগুলির মানুষজনদের শহরের সঙ্গে সংযোগের রাস্তা ছিল বিচ্ছিন্ন। বিভিন্ন আবেদন নিবেদনের ফলে পশ্চিমাঞ্চল উন্নয়ন পর্ষদের আর্থিক সহায়তায় সেই রাস্তা নির্মাণ হয়। দুবরাজপুর দরবেশ মোড় থেকে ধরমপুর পর্যন্ত এই আড়াই কিলোমিটার রাস্তা এবং সেই সঙ্গে শাল নদীর উপর সেতু নির্মাণে খরচ হয় ১ কোটি ৮০ লক্ষ টাকা। মাস দুয়েক আগে এই রাস্তা ও সেতু নির্মাণের কাজ শেষ হয়েছে।
কিন্তু ক’দিনের একটানা বৃষ্টিতে সেতুর সংযোগ এলাকা ভগ্নদশা। বেহাল রাস্তার কারণে চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। দিন দশেক পেরিয়ে গেলেও রাস্তার যাতায়াতে এলাকার মানুষের দুর্ভোগের রেহাই মেলেনি। বীরভূম জেলা পরিষদ থেকে ব্লক অফিস, স্থানীয় হেতমপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান প্রত্যেককেই এই বিষয়টি নিয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছে। সরেজমিনে প্রত্যক্ষ করে গেছেন দুবরাজপুর বিডিও রাজা আদক সহ ইঞ্জিনিয়ার সেইসঙ্গে স্থানীয় প্রধান টুম্পা বাউরী। প্রত্যেকেই আশ্বাস দিয়েছেন যথাশীঘ্রই রাস্তাটি মেরামত হয়ে যাবে।
স্থানীয় মদনপুর গ্রামের জাকির হোসেন জানিয়েছেন রাস্তা ও সেতু নির্মাণের গুণগত মান নিয়ে আমরা প্রশ্ন তুলেছিলাম আগেই। কিন্তু বরাদ্দ পাওয়া ঠিকাদার সে কথা শোনেননি। রাস্তা নির্মাণের পরেই এমন দুর্ভোগের জন্য প্রধান টুম্পা বাউরী দায়ী করেছেন ঠিকাদারকে। সিডিউল অনুযায়ী কাজ হয়নি বলে তিনি অভিযোগ করেন। গুণগত মান নিয়েও তিনি প্রশ্ন তোলেন। নতুন রাস্তা নির্মাণ হওয়া সত্ত্বেও ওই পথ দিয়ে ছাত্র-ছাত্রী, মুটে মজুর, ব্যবসায়ী এমনকি চাষের কাজের জন্য ট্রাকটার নিয়ে পৌঁছানো যাচ্ছে না। রাস্তাটাই অচল। ধরমপুর গ্রামের নরেশ ঘোষ, মনোজ ঘোষেরা জানিয়েছেন আমরা পশ্চিমাঞ্চল উন্নয়ন পর্ষদের কর্তৃপক্ষ সহ বীরভূম জেলা প্রশাসনকে বিষয়টি লিখিত জানিয়েছি। শুধুমাত্র আশ্বাস মিলেছে। তবে কবে এই রাস্তা চলাচলের যোগ্য হবে সেদিকেই তাকিয়ে রয়েছে এলাকার কয়েক হাজার মানুষ।