শম্ভুনাথ সেনঃ
আজ ১১ আগস্ট। অগ্নিযুগের শহীদ ক্ষুদিরাম বসুর আত্মবলিদানের দিন। সারা ভারতবর্ষেই দিনটি শহীদ দিবস হিসেবে পালিত হয়। রবিবার ছুটির দিন হলেও বীরভূমের বহু প্রাইমারি স্কুলে সকল ছাত্র-ছাত্রী ও শিক্ষক শিক্ষিকাদের নিয়ে যথাযথ মর্যাদায় দিনটি উদযাপিত হয়। আজকের এই মহতী অনুষ্ঠানে শহীদ ক্ষুদিরামের প্রতিকৃতিতে শিক্ষক, শিক্ষিকা, ছাত্র-ছাত্রী সকলের হাত ছুঁয়ে ফুল, মালা, শ্রদ্ধার্ঘ্য নিবেদিত হয়। ক্ষুদিরাম বসুর জীবন চরিত নিয়ে পড়ুয়াদের সামনে বক্তব্য তুলে ধরেন শিক্ষকরা। বীরভূমের দুবরাজপুর চক্রের রবীন্দ্রনাথ পাঠ বেসিক, বীরনারায়ণপুর সাঁওতাল প্রাইমারি, বনহরি প্রাথমিক বিদ্যালয়, লালবাজার প্রাথমিক বিদ্যালয়, রঞ্জনবাজার হিন্দী প্রাইমারি, কলুপাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়, ময়ূরেশ্বর চক্রের উলকুণ্ডা প্রাথমিক বিদ্যালয় এমন বিভিন্ন স্কুল থেকে শহীদ দিবস পালনের খবর এসে পৌঁছেছে। এদিন ক্ষুদিরাম বসুর সাহসিকতার জীবন কাহিনী পড়ুয়াদের সামনে তুলে ধরেন উলকুণ্ডা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সুকুমার গঁড়াই। শিশুরা যাতে দেশ মাতৃকার প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে ওঠে সে বিষয়ে তিনি বক্তব্য রাখেন। উল্লেখ্য, ক্ষুদিরাম বসু সর্বকনিষ্ঠ বিপ্লবী যিনি ভারতে ব্রিটিশ শাসনের বিরোধিতা করেছিলেন। মাত্র ১৮ বছর ৭ মাস ১১ দিন বয়সে ক্ষুদিরাম বসুর ফাঁসি হয়। তাঁর আত্মবলিদান ভারতের স্বাধীনতা ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লিখিত আছে। তাই তিনি অমর হয়ে থাকবেন চিরকাল। তাঁর জীবন আদর্শ এদিন শহীদ স্মরণ অনুষ্ঠানে ছোট ছোট ছাত্র-ছাত্রীদের কাছে তুলে ধরেন বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষিকারা।