সেচমন্ত্রী মানস ভুঁইয়ার উপস্থিতিতে প্রাকৃতিক দুর্যোগ নিয়ে প্রশাসনিক বৈঠক বীরভূমের সিউড়িতে

শম্ভুনাথ সেনঃ

সম্প্রতি ঘটে যাওয়া প্রাকৃতিক দুর্যোগ নিয়ে প্রশাসনিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয় বীরভূমের সিউড়িতে। রাজ্যের সেচ মন্ত্রী মানুষ ভূঁইয়ার উপস্থিতিতে এদিন বৈঠক শুরু হয়। উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহা, জেলা সমাহার্তা বিধান রায় সহ সাংসদ ও বিধায়করা। এদিন মুখ্যমন্ত্রীর ম্যান মেড তত্ত্বে শিলমোহর দিলেন রাজ্যের সেচমন্ত্রী মানস ভুঁইয়া। তিনিও না জানিয়ে জল ছাড়ার দায় ডিভিসির ওপর চাপালেন। বীরভূমের বন্যা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে গতকাল রাতে সিউড়িতে আসেন সেচমন্ত্রী মানস ভুঁইয়া। আজ জেলা প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি।ওই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বোলপুরের সাংসদ অসিত কুমার মাল সহ শাসক ও বিরোধী দলের এক বিধায়ক অনুপ কুমার সাহা। বৈঠক শেষে সেচমন্ত্রী বলেন যা ঘটনা ঘটেছে ম্যানমেড বন্যা। ডিভিসি না জানিয়ে জল ছেড়েছে। আর তারজন্যই এতগুলো জেলা প্রভাবিত হয়েছে। রাজ্যের যেসব জলাধার রয়েছে সেখান থেকে অল্প অল্প করে জল ছাড়া হয়। কিন্তু ডিভিসি সেটা করে না। উত্তরাখন্ড, বিহার, ঝাড়খন্ডের জল এরাজ্যের ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। অথচ কোনো টাকা বরাদ্দ করে না কেন্দ্র এমনই অভিযোগ মানস ভুঁইয়ার। তিনি সেচ দপ্তরকে বছরে তিনবার বাঁধ পরিদর্শনের নির্দেশ দেন। এদিকে মিটিংয়ে উপস্থিত জেলার একমাত্র বিজেপি বিধায়ক অনুপ কুমার সাহা দাবি করেন বন্যা কবলিত এলাকার মানুষকে সাহায্য প্রদানের ক্ষেত্রে যেন কোনো রাজনীতি না হয়। কেন্দ্রের বঞ্চনার অভিযোগ সঠিক নয় বলেও দাবি বিজেপি বিধায়কের। প্রসঙ্গত সেচমন্ত্রীর দাবি বীরভূমের বন্যা কবলিত এলাকার ৫৪ বর্গ কিলোমিটার এলাকা। ৭ টি ব্লক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তারমধ্যে লাভপুর সবথেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত। বন্যায় ১০ হাজার মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে সেচমন্ত্রী জানান। কংকালীতলা ও তারাপীঠ মহাশ্মশান যাতে প্লাবিত না হয় তারজন্য স্থায়ী সমাধানে পরিকল্পনা গ্রহণ করার নির্দেশ দেন জেলাশাসককে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *