শম্ভুনাথ সেনঃ
বীরভূমের বোলপুর গীতাঞ্জলি প্রেক্ষাগৃহে আজ ২৪ সেপ্টেম্বর এক প্রশাসনিক বৈঠকে মিলিত হন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
সাম্প্রতিক বন্যায় বহু ক্ষয়ক্ষতি ও প্রাণহানি হয়েছে বীরভূমে। লাভপুরেই অন্তত ১৫টি গ্রাম বানভাসি হয়েছে। কোপাই নদীর জলে জলমগ্ন হয়েছে সতীপীঠ কঙ্কালীতলা। কুয়ে নদীর বাঁধ ভেঙে প্লাবিত হয়েছে বিস্তীর্ণ এলাকা। সেই সংক্রান্ত বিষয় নিয়েই মূলত আজকের বৈঠকে আলোচনা হয়।বন্যায় যাদের মৃত্যু হয়েছে এবং ঘরবাড়ি ভেঙে গিয়েছে তাঁদের জন্য আর্থিক সাহায্য ঘোষণা করেন তিনি।
বন্যায় ভেঙে গিয়েছে এমন গৃহহীনদের বাড়ি তৈরি করে দেওয়া হবে৷ এছাড়া, জল সরে গেলে কৃষকদের যে ফসলের ক্ষতি হয়েছে, তা খতিয়ে দেখে ক্ষতিপূরণ দেবে রাজ্য সরকার। এছাড়াও যারা কেন্দ্রের আবাস যোজনার ঘর পাননি তাঁদেরও বাড়ি তৈরির জন্য টাকা দেওয়া হবে বলে তিনি জানান৷ এদিন পরিযায়ী শ্রমিকদের মৃত্যু নিয়ে বিস্ফোরক দাবি করেন। মৃত পরিযায়ী শ্রমিকদের পরিবারকে ২ লক্ষ করে টাকা দেওয়া হবে বলে তিনি ঘোষণা করেন। ডিভিসির ভূমিকা নিয়েও এদিন সরব হন মুখ্যমন্ত্রী। বন্যা কবলিত এলাকাগুলির রাস্তা নির্মাণের জন্য বিধায়ক তহবিল ও গ্রামীণ স্কুলগুলি সংস্কারের জন্য সাংসদ তহবিল থেকে অর্থ বরাদ্দ করার জন্য তিনি নির্দেশ দেন৷ এদিন এক ঘণ্টার বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় বিধায়ক তথা রাজ্যের কারামন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহা, বিধানসভার উপাধ্যক্ষ ডঃ আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়, বীরভূম ও বোলপুর সাংসদ শতাব্দী রায়, অসিত মাল, বীরভূম জেলাশাসক বিধান রায়, জেলা পুলিশ সুপার রাজনারায়ণ মুখোপাধ্যায়, জেলা সভাধিপতি ফায়জুল হক ওরফে কাজল সেখ, বিধায়ক অভিজিৎ সিংহ, বিকাশ রায়চৌধুরী, বিধান মাঝি প্রমুখ।