
শম্ভুনাথ সেনঃ
রাসযাত্রা সনাতন ধর্মাবলম্বীদের কাছে একটি বড় বাৎসরিক উৎসব। রাস মূলতঃ শ্রীকৃষ্ণের ব্রজলীলার অনুকরণে বৈষ্ণবীয় ভাবধারায় অনুষ্ঠিত একটি ধর্মীয় উৎসব। সারাদেশের সঙ্গে বীরভূমের দুবরাজপুর ব্লকের পণ্ডিতপুর গ্রামে আজ ১৫ নভেম্বর মহাসমারোহে রাস উৎসব উদযাপিত হয়। উল্লেখ্য, ৮৩ বছর পূর্বে ১৩৪৮ বঙ্গাব্দে এই গ্রামে প্রথম রাস উৎসবের সূচনা হয়। আজ সকাল থেকেই পণ্ডিতপুর উমা-গোঁসাই মন্দিরে চলে নাম সংকীর্তন।

দুবরাজপুর, পণ্ডিতপুর, হালসোত, রূপশিমূল, দৌলতপুর সন্নিহিত এইসব গ্রামগুলির অন্তত ২০০০ ভক্ত অনুরাগীরা দুপুরে খিঁচুড়ি প্রসাদ গ্রহণ করেন। সন্ধ্যায় ভোগ আরতির পর অনুষ্ঠিত হয় ধর্ম আলোচনা সভা। এই সভায় আলোচনায় অংশ নেন দুবরাজপুর শ্রী শ্রী রামকৃষ্ণ আশ্রমের শীর্ষসেবক স্বামী সত্যশিবানন্দ মহারাজ। অন্যদিকে রাস উৎসবের কথা তুলে ধরেন বাঁকুড়ার মেজিয়া গভঃৎ কলেজের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ড. রবিন ঘোষ। পরে গ্রামের মা-মেয়েরা পসরা সাজিয়ে শ্রীকৃষ্ণের কাছে আত্মনিবেদন করেন। এই অনুষ্ঠান দেখতে বহু ভক্তের সমাগম ঘটে। রাত্রিতে অনুষ্ঠিত হয় বিশিষ্ট কীর্তনীয়া রতন রায় ও সম্প্রদায়ের পালা কীর্তন।
