
শম্ভুনাথ সেনঃ
১০১ বছর বয়সে শ্রীরামকৃষ্ণ সত্যানন্দলোকে চলে গেলেন কলকাতা বরানগর শ্রী শ্রী রামকৃষ্ণ আশ্রমের সংঘপতি তথা বীরভূমের জয়দেব শ্রী শ্রী রামকৃষ্ণ আশ্রমের শীর্ষসেবক স্বামী গৌরানন্দ মহারাজ৷ ১৫ ডিসেম্বর, সোমবার রাত ৩.২৫ মিনিটে বীরভূমের জয়দেব শ্রী শ্রী রামকৃষ্ণ আশ্রমে তাঁর জীবনাবসান হয়। মাসখানেক ধরে কিডনি ও বার্ধক্যজনিত রোগে ভুগছিলেন তিনি৷ উল্লেখ্য, স্বামী গৌরানন্দজীর বেশিরভাগ সময় দীর্ঘ ৬৮ বছর সন্ন্যাসী জীবন অতিক্রান্ত হয় বীরভূমের এই জয়দেব শ্রী শ্রী রামকৃষ্ণ আশ্রমে। তাঁর মহাপ্রয়াণের সংবাদে গভীর শোকাহত তাঁর অনুগামী ভক্ত-শিষ্যরা। উপস্থিত হন বরানগর শ্রী শ্রী রামকৃষ্ণ আশ্রমের সহ সভাপতি স্বামী প্রকাশানন্দ মহারাজ, সম্পাদক স্বামী সারদাত্মানন্দ মহারাজ, দুবরাজপুর শ্রী শ্রী রামকৃষ্ণ আশ্রমের শীর্ষসেবক স্বামী সত্যশিবানন্দ মহারাজ, জয়দেব আশ্রমের সম্পাদক স্বামী সুনীল মহারাজ সহ অন্যান্য আশ্রমের মহারাজরা।

উপস্থিত হন শ্রীরামকৃষ্ণ আশ্রম অনুরাগী অগণিত ভক্ত-শিষ্যরা। চন্দনের ফোঁটা, ফুল মালায় ভরে যায় মহারাজের নশ্বর দেহ। স্বামী সত্যশিবানন্দ মহারাজ জানিয়েছেন স্থানীয় ভক্ত শিষ্যদের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য দুপুরে দুবরাজপুর শ্রী শ্রী রামকৃষ্ণ আশ্রমে মরদেহ নিয়ে আসা হবে। পরে পুনরায় জয়দেবে গিয়ে অজয় নদের তীরে কদমখণ্ডী মহাশ্মশানে তাঁর শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে। উল্লেখ্য, মাত্র ১২ বছর বয়সে ঘর ছেড়ে বেরিয়ে ছিলেন এই গৌরানন্দজী। বাল্যকাল থেকেই বীরভূমের সিউড়ি রামকৃষ্ণ আশ্রমে ঠাকুর সত্যানন্দদেবের কাছেই আশ্রয় নেন। সেখানেই তাঁর শিক্ষা ও ব্রহ্মচর্য জীবন কাটে। পরে তিনি ঠাকুর সত্যানন্দদেবের কাছে দীক্ষিত হয়ে সন্ন্যাস লাভ করেন। গুরুর আদেশ মত পরবর্তীতে বীরভূমের সিউড়ি, দুবরাজপুর, বাতিকার, নরসিংহপুর, মধুপুর বিভিন্ন আশ্রম ঘুরে স্থায়ীভাবে ছিলেন জয়দেব শ্রী শ্রী রামকৃষ্ণ আশ্রমে। তাঁর মহাপ্রয়াণে আজ ১৬ ডিসেম্বর অভেদানন্দ মেলা উপলক্ষে দুবরাজপুর শ্রী শ্রী রামকৃষ্ণ আশ্রমে সব অনুষ্ঠান বন্ধ রাখা হবে বলে শীর্ষসেবক স্বামী সত্যশিবানন্দ জানিয়েছেন।