
শম্ভুনাথ সেনঃ
গরু বলদের সাহায্যে গতানুগতিক পদ্ধতিতে কৃষি কাজের দিন শেষ। তাতে সময় যেমন বেশি লাগে তেমনি বাড়ে চাষের খরচও। তাই কৃষিকে লাভজনক করতে শুরু হয়েছে নতুন প্রযুক্তির সাহায্যে কৃষিকাজ। “পাওয়ার উইডার” হল একটি কৃষি যন্ত্রপাতি, যা মাটি থেকে ঘাস ও আগাছা পরিষ্কার করে খুব সহজেই মাটি খনন করে। এটি মাটির উর্বরতা বাড়ায়। ফসলের মাঝখানে আগাছা দেওয়ার জন্য এমনকি আলু তোলার কাজে ব্যবহৃত হয়। যেখানে বড় ট্রাক্টর মাঠে পৌঁছাতে পারে না, সেখানে এই যন্ত্রের সাহায্যে ধান ও সবজি চাষ, নিড়ানি দেওয়া, বিভিন্ন সাইজের ফালের সাহায্যে মাটি খননের কাজে বেশ উপযোগী। বীরভূমের দুবরাজপুর ব্লকের বালিজুরি গ্রাম পঞ্চায়েতের কুলেকুড়ি গ্রামে ২৪ ফেব্রুয়ারি এই যন্ত্রের সাহায্যে কিভাবে চাষবাস করা যায় তা হাতে-কলমে শেখানো হয় চাষীদের। বীরভূমের নলহাটি ফার্মার্স প্রডিউসার কোম্পানির প্রশিক্ষিত চাষীরা এদিন কুলেকুড়ি গ্রামে চাষীদের হাতে-কলমে শিক্ষা দেন। উল্লেখ্য, এই যন্ত্রের দাম ১ লক্ষ ৫ হাজার টাকা কিন্তু কৃষক বন্ধু চাষীকে ৫০ শতাংশ সরকারি ভর্তুকিতে এই কৃষি যন্ত্র দেওয়া হয় বলে সাদ্দাম হোসেন জানিয়েছেন। হাতে-কলমে শিক্ষা পেয়ে স্থানীয় কালু পাল, আঁঠু পাল দের মতো চাষিরা এদিন খুশি ব্যক্ত করেন। সে কথা জানিয়েছেন দুবরাজপুর এগ্রো ফার্মাস কোম্পানির চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার সাধন কুমার পাল।