সাহিত্য অকাদেমির প্রাক্তন সভাপতি, ফেলো এবং ওডিয়া ভাষার প্রখ্যাত কবি রমাকান্ত রথের প্রয়াণে শোকের ছায়া

মেহের সেখঃ

১৬ মার্চ রবিবার সাহিত্য অকাদেমির প্রাক্তন সভাপতি, ফেলো এবং ওডিয়া ভাষার প্রখ্যাত কবি রমাকান্ত রথের প্রয়াণে সাহিত্য সংস্কৃতি মহলে গভীর শোকের ছায়া নেমে এসেছে। ওডিয়া কাব্যজগতে বিশিষ্ট স্থানের অধিকারী রমাকান্ত রথ তাঁর আধুনিক এবং দার্শনিক দৃষ্টিভঙ্গির জন্যে সুপরিচিত ছিলেন। তাঁর সুপ্রসিদ্ধ কবিতা-সংগ্রহগুলির মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল ‘কেতে দিনারা’ (১৯৬২), ‘সন্দিগ্ধ মৃগয়া’ (১৯৭১), ‘সপ্তম ঋতু'(১৯৭৭), ‘সচিত্র আঁধার’ (১৯৮২), ‘শ্রীরাধা’ (১৯৮৫) এবং ‘শ্রেষ্ঠ কবিতা’ (১৯৯২)। তাঁর মহান সৃষ্টি শ্রীরাধা-র জন্যে তিনি সরস্বতী সম্মানে ভূষিত হয়েছেন। তাঁর রচনা ইংরেজি এবং অন্যান্য বিভিন্ন ভারতীয় ভাষায় অনূদিত হয়েছে।

বহু সাহিত্য পুরস্কারে ভূষিত রমাকান্ত রথ ১৯৭৭ সালে সাহিত্য অকাদেমি পুরস্কার, ১৯৮৪ সালে সরলা পুরস্কার, ১৯৯০ সালে বিষুব সম্মান এবং ২০০৯ সালে সাহিত্য অকাদেমির ফেলো ফেলোশিপে সম্মানিত হয়েছেন। সাহিত্যে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখার পাশাপাশি তিনি উড়িষ্যা রাজ্যের বিকাশেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। তিনি বিভিন্ন বিভাগে সচিবের দায়িত্বের পাশাপাশি উড়িষ্যার মুখ্য সচিবের ভূমিকাও পালন করেছেন।

সাহিত্যে উল্লেখযোগ্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ, ভারত সরকার তাঁকে তৃতীয় শ্রেষ্ঠ নাগরিক সম্মান পদ্মভূষণ সম্মানে ভূষিত করেন। সাহিত্য অকাদেমির সচিব ড. কে. শ্রীনিবাসরাও তাঁর শোকপ্রস্তাবে বলেন, “প্রতিষ্ঠিত কবি, বিদ্বান এবং আমাদের প্রাক্তন সভাপতি রমাকান্ত রথ আর আমাদের মধ্যে নেই জেনে মর্মাহত হলাম। তাঁর কবিতা অগণিত পাঠকের অন্তরে আত্মনিরীক্ষণের তাগিদ জাগিয়ে তোলার পাশাপাশি জীবন, মৃত্যু এবং জড় জগতের সঙ্গে অঙ্গাঙ্গিভাবে যুক্ত জীবন অস্তিত্বকে উপলব্ধি করা ও নিজেকে নিজের সাংস্কৃতিক উৎসের সন্ধানে আবারও নিবৃত্ত হতে প্রাণিত করে। “শ্রীরাধা”, “সপ্তম ঋতু” মত তাঁর প্রসিদ্ধ রচনাগুলি চিরকাল আমাদের সাথে থেকে পাঠককে ওনার দেখানো আত্মানুসন্ধানের পথে চালিত করবে।” তাঁর সম্মানে সাহিত্য অকাদেমির সকল কার্যালয়ে আগামীকাল শোকসভা অনুষ্ঠিত হবে এবং দ্বিপ্রহরের পর সাহিত্য অকাদেমির সকল কার্যালয় বন্ধ থাকবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *