
শম্ভুনাথ সেনঃ
বিবাহের জন্য নির্দিষ্ট বয়স আছে। ছেলের বয়স ২১ এবং মেয়ের বয়স ১৮ বছর। তা সত্ত্বেও বাল্যবিবাহ এখনো সম্পূর্ণ প্রতিরোধ করা যায়নি। বাল্যবিবাহ এবং শিশু শ্রম প্রতিরোধ করতে বীরভূম জেলার সমস্ত উচ্চ বিদ্যালয়ে ছাত্র-ছাত্রীদেরকে নিয়ে আজ ২৪ মার্চ এক অভিনব পদযাত্রার মধ্য দিয়ে প্রচার করা হয়। সহায়তায় এগিয়ে এসেছেন বীরভূমের একটি সাংস্কৃতিক সংগঠন “বীরভূম সংস্কৃতি বাহিনী”। একদিনেই একই সময়ে বাল্যবিবাহ সচেতনতা বিষয়ক একটি নির্দিষ্ট নাটক অভিনীত হবে জেলার প্রত্যেকটি বিদ্যালয়ে। আজ এই পদযাত্রায় ছাত্র-ছাত্রীদের পাশাপাশি শিক্ষক-শিক্ষিকা সমাজ সচেতন মানুষজন এবং প্রশাসনিক আধিকারিকরা অংশগ্রহণ করেন। সিউড়ি, দুবরাজপুর, রাজনগর, বোলপুর, রামপুরহাট, ইলামবাজার জেলার এমন প্রতিটি ব্লকে আজ এই কর্মসূচি পালিত হয়। জয়দেব অঞ্চলের জনুবাজার পীতাম্বর উচ্চ বিদ্যালয়, সাহাপুর, অন্যদিকে পায়ের, ইলামবাজার, চুনপলাশী সহ একাধিক বিদ্যালয়ে একই ছবি দেখা যায়। উল্লেখ্য, আগামী ২৬ মার্চ বিশ্ব নাট্য দিবসের প্রাক্কালে জেলার অষ্টম থেকে দ্বাদশ ক্লাস যেখানে আছে এমন বিদ্যালয়গুলোতে ১১.৩০ মিঃ থেকে শুরু হবে বিশেষ আলোচনা। ঠিক ১২ টায় সারা জেলার সব স্কুলে ছাত্রীরা তিনটি ঘণ্টাধ্বনি করবে। তারপর শ্লোগান “জেলা জুড়ে এক স্বর,/বাল্যবিবাহ রদ কর”, ১২.১০ মিনিটে শুরু হবে নাটক “নারী নক্ষত্র” । বিদ্যালয়ের এই বিশেষ কর্মসূচীতে অংশগ্রহণ করবেন অভিভাবক – অভিভাবিকা, আশা-অঙ্গনওয়ারি কর্মীগণ, স্বনির্ভর গোষ্ঠী, বিবাহে বিভিন্ন পরিষেবা দানকারী, প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক শিক্ষিকা, জনপ্রতিনিধিগণ প্রমুখ। জেলা প্রশাসন সড়তে এবার তা দেওয়া হয়েছে। নাটক শেষে বাল্যবিবাহের বিরুদ্ধে শপথ নেবেন সর্বশ্রেণির মানুষ।
বাল্যবিবাহ রুখতে জেলাশাসকের একটি শ্লোগান বীরভূম জেলায় ছড়িয়ে পড়েছে ——
“জেলা জুড়ে এক স্বর,
বাল্যবিবাহ রদ কর”।
আজ এই পদযাত্রা কর্মসূচীতে বিভিন্ন ব্লক এবং পঞ্চায়েত স্তরে সক্রিয়ভাবে যুক্ত থাকার জন্য জেলা প্রশাসনের তরফে নির্দেশ দেওয়া হয়।
