ভাস্কর মন্ডলঃ
১৮৫৭ সালের সিপাহী বিদ্রোহের আগে ১৮৫৫ সালে সাঁওতাল বিদ্রোহ ব্রিটিশদের ঘুম কেড়ে নিয়েছিল। অনেক ইংরেজ সহ প্রায় দশ হাজার সাঁওতাল মারা যায় এই বিদ্রোহে। সিধু কানহোচাঁদ ও ভৈরব সহ প্রমুখ নেতারমৃত্যুতে ১৮৫৬ সালের নভেম্বর মাসে শেষ হয় সাঁওতাল বিদ্রোহ। সাঁওতাল বিদ্রোহের উদ্দেশ্য ছিল ব্রিটিশ শাসনের অত্যাচার এবং দেশীয় জমিদার ও অসাধু ব্যবসায়ীদের হাত থেকে মুক্তি পাওয়া। তাই সাঁওতালরা ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে সশস্ত্র সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়ে। সাঁওতালদের মূল হাতিয়ার ছিল তীর ধনুক। তা নিয়েই বন্দুক গোলা বারুদ অস্ত্রে সজ্জিত ব্রিটিশ বাহিনীর ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। পৃথক সাঁওতাল রাজ্যের দাবিতে এই সাঁওতাল বিদ্রোহ ভারতের স্বাধীনতার ইতিহাসে গুরুত্বপূর্ণ স্থান দখল করে আছে। এই দিনকে স্মরণ করে ৩০ জুন ‘পালু সাকাম’ মহিলা সংগঠনের উদ্যোগে মহঃবাজার ব্লকের রামপুর অঞ্চলের ‘রামাপাড়া’ গ্রামে ঐতিহাসিক হুল দিবস উদযাপন করা হলো শ্রদ্ধাবনত চিত্তে, আলোকিত উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট সমাজসেবী মাননীয় ধ্রুব সাহা, দুবরাজপুর বিধানসভার বিধায়ক মাননীয় অনুপ সাহা, বিশিষ্ট আইনজীবী মাননীয় টুটুন নন্দী, এই এলাকার বিশিষ্ট সমাজসেবী মাননীয় কৃষ্ণকান্ত সাহা, আদিবাসী সমাজের বিশিষ্ট সমাজসেবী মাননীয় সুকুল মার্ডি ও মাননীয় বাহাদুর মার্ডি, বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব মাননীয় পিনাকী মন্ডল এবং মাননীয় তারাপদ দাস,মাননীয় বাপ্পাদিত্য ঘোষ, মাননীয় খোকন দাস, মাননীয় গোপাল ঘোষ, মাননীয় সন্তোষ ভান্ডারী সহ আদিবাসী সমাজের স্বজন মানুষজন। প্রতিবছর ৩০জুন সাঁওতাল বিদ্রোহ হুল দিবস হিসাবে উদযাপন করে সাঁওতাল সম্প্রদায়ের মানুষেরা। হুল দিবস তাদের কাছে বীরগাঁথার দিবস।