
সনাতন সৌঃ
আষাঢ় মাসের তৃতীয় সপ্তাহ হয়ে গেল। সঙ্গে চলছে প্রতিনিয়ত বৃষ্টি। অতি বৃষ্টিতে বীরভূম জেলার বিভিন্ন প্রান্তের রাস্তাঘাটের অবস্থা খুবই খারাপ। খানাখন্দে ভরা রাস্তায় প্রায়শ্চই ঘটছে দুর্ঘটনা কিন্তু নির্বিকার প্রশাসন। সিউড়ি আব্দারপুরের কাছে ১৪নং জাতীয় সড়ক গর্তে ভর্তি। জাতীয় সড়কের কঙ্কালসার চেহারা বেরিয়ে পড়েছে। ফলে ১৪নং জাতীয় সড়কে প্রায়শই তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। এরফলে বেসরকারি আসানসোল ও বর্ধমান বাস চিনপাই গ্রামের ভিতর দিয়ে না গিয়ে হাইরোড দিয়ে চলে যায়। চিনপাই, নারায়নপুর, রাধামাধবপুর সহ একাধিক গ্রামের বাসিন্দারা প্রচন্ড সমস্যায় পড়েছে। মুরারই থেকে কনকপুর যাওয়ার হাসপাতাল রোডের রাস্তার বেহাল দশা। চিনপাই গ্রাম থেকে তাপাসপুর যাওয়ার রাস্তা খানাখন্দে ভরা। সিউড়ি থেকে গামারকুন্ড-গণেশপুর রাস্তার অবস্থা খুবই শোচনীয়। অতি সম্প্রতি বাস দূর্ঘটনায় গদাধর ভান্ডারী নামে এক যাত্রীর মৃত্যু হয়েছে। একটু বৃষ্টি হলেই জলের তলায় চলে যায় খয়রাশোল ব্লকের পানসিউড়ী কজওয়ে মানুষজন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পারাপার করে। সিউড়ি পৌরসভার ১৬নং ওয়ার্ডের সুভাষপল্লী রেলব্রিজ কালীমাতা সেবা সমিতির সামনের রাস্তায় জল জমে পুকুরে পরিনত হয়েছে। সিউড়ি থেকে দুবরাজপুর যাওয়ার প্রধান রাস্তা খুবই খারাপ কিন্তু হেলদোল নেই প্রশাসনের। চিনপাই ব্যাঙ্ক মোড় থেকে আশ্রম যাওয়ার রাস্তা গর্ত খানাখন্দে ভরা। পুরন্দরপুর এলাকায় রাস্তাঘাটের অবস্থা একই রকম। দমদমা পঞ্চায়েতের বিদাইপুর গ্রামের মসজিদের কাছে রাস্তাতে বিরাট ফাটল দেখা দিয়েছে। যেকোনো সময় ছোট্ট বাচ্চা থেকে বয়স্ক মানুষ ওই মরণখাদে পড়ে দূর্ঘটনায় কবলে পড়তে পারে। এই রাস্তার ফাটলের গর্তগুলো মেরামত করা জরুরী। চিনপাই স্টেশন যাওয়ার প্রধান রাস্তায় হনুমান মন্দিরের কাছে জল জমে পুকুরে পরিনত হয়েছে। পথবাতি দীর্ঘদিন ধরে বিকল ফলে সন্ধ্যা হলে অন্ধকারে ডুবে যায় ওই রাস্তা। ট্রেন থেকে নেমে আসা যাত্রীরা দুর্ভোগে পড়েন। বীরভূম জেলার বিভিন্ন স্থানের রাস্তাঘাটের অবস্থা খারাপ থাকায় যাত্রী সাধারণ খুবই ক্ষুব্ধ। জনস্বার্থে জেলার বেহাল রাস্তা গুলো দ্রুত মেরামতির দাবি জানিয়েছে জেলার বাসিন্দারা ।