
শম্ভুনাথ সেনঃ
যিনি আমাদের শিক্ষা দেন, তিনিই গুরু। ভারতীয় ধর্মীয় সংস্কৃতিতে শিষ্যের কাছে রয়েছে গুরুর বিশেষ স্থান। সারা বছরের সঙ্গে গুরুকে শ্রদ্ধা নিবেদন করার বিশেষ দিনটি হল “গুরুপূর্ণিমা”। আষাঢ় মাসের পূর্ণিমা তিথি গুরুপূর্ণিমা হিসেবে পালিত হয়। প্রতিবছরের মত এবারও বীরভূমের জয়দেব কেন্দুলী শ্রী শ্রী রামকৃষ্ণ আশ্রমে আজ ১০ জুলাই, বৃহস্পতিবার মহাসমারোহে পালিত হয় “গুরু পূর্ণিমা” উৎসব। এদিন থেকেই সকাল বহিরাগত এবং স্থানীয় জয়দেব কেন্দুলী ভক্তদের ঢল নামে শ্রীরামকৃষ্ণ আশ্রমে। ভোর থেকে শুরু হয় মঙ্গলারতি, হরিনামের আসর, গুরু সম্পর্কে আলোচনা সভা এবং বিশ্ব কল্যাণ যজ্ঞ। আশ্রমের পক্ষ থেকে দুপুরে ভক্তদের জন্য মধ্যাহ্ন ভোজনের আয়োজন করা হয়। বৃষ্টিকে উপেক্ষা করে এদিন ভক্ত পুণ্যার্থীরা এই গুরু পূর্ণিমার দিন শ্রদ্ধার সাথে গুরুদেব স্বর্গীয় গৌরানন্দ মহারাজের প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন। উল্লেখ্য গত ১৬ ডিসেম্বর, ২০২৪ গুরুদেব গৌরানন্দ মহারাজ শ্রী রামকৃষ্ণলোকে বিলীন হন। সে কথায় জানিয়েছেন দুবরাজপুর শ্রী শ্রী রামকৃষ্ণ আশ্রমের শীর্ষসেবক স্বামী সত্যশিবানন্দ মহারাজ। উল্লেখ্য, হিন্দু ধর্মে গুরু পূর্ণিমার বিশেষ তাৎপর্য রয়েছে। এই তিথিটি আষাঢ় পূর্ণিমা, ব্যাস পূর্ণিমা এবং বেদব্যাস জয়ন্তী নামেও পরিচিত। এই দিনে, ব্রহ্মসূত্র, মহাভারত, শ্রীমদ্ভাগবত এবং আঠারোটি পুরাণের মতো বিস্ময়কর ধর্মীয় সাহিত্য রচনাকারী মহান গুরু মহর্ষি বেদব্যাসের জন্মদিন। এবারও গুরু-শিষ্যের এই মহামিলন উৎসব যথোচিত মর্যাদায় উদযাপিত হয় জয়দেব কেন্দুলীতে।