বিজেপির অভিসন্ধিতে ৩৫৪ জন জীবিত সংখ্যালঘুকে মৃত ভোটার তালিকায়, অভিযোগ তৃণমূল বিধায়ক বিকাশ রায়চৌধুরীর

সেখ রিয়াজুদ্দিনঃ

নোট বন্দীর পর এবার কি ভোট বন্দী? বিজেপি শাষিত কেন্দ্র সরকার তথা নরেন্দ্র মোদী কি জনগণের ভোটাধিকার হরণ করতে চলেছে? ভোটার নির্ধারণ কি মোদী সরকার করে দেবে? সিউড়ি বিধানসভা কেন্দ্রের ভোটার তালিকায় বড় ধরনের কারচুপির অভিযোগ উঠেছে, আর সেই প্রেক্ষিতে উঠেছে প্রশ্ন। সিউড়ি বিধানসভা কেন্দ্রের তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক বিকাশ রায় চৌধুরী বৃহস্পতিবার সাংবাদিক সম্মেলন করে বলেন, রাজ্য নির্বাচন কমিশনের কাছে বিজেপির দেওয়া ভোটার তালিকায় ৩৫৪ জন জীবিত সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষকে মৃত বলে উল্লেখ করা হয়েছে। এই চক্রান্তের বিরুদ্ধে বিজেপির মদত রয়েছে বলে অভিযোগ তোলেন। যাহা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে চাঞ্চল্যকর সৃষ্টি হয়েছে।
বিধায়ক বিকাশ রায়চৌধুরী জানান যে, সিউড়ি বিধানসভা কেন্দ্রের মধ্যে মোট ৩৭২ জন ভোটারকে বিজেপির দেওয়া তালিকায় মৃত বলে দেখানো হয়েছে। তবে তদন্তে দেখা গেছে, এর মধ্যে মাত্র ১৮ জনের মৃত্যু হয়েছে, বাকি ৩৫৪ জন এখনও জীবিত। মৃত উল্লেখকৃত জীবিত ব্যক্তিদের তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে সিউড়ির দলীয় কার্যালয়ে ডেকে এনে তাঁদের জীবিত থাকার প্রমাণ সংগ্রহ করা হয়েছে। বিধায়কের দাবি, এই কারচুপি ইচ্ছাকৃতভাবে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষদের বিরুদ্ধে করা হয়েছে। এদের মধ্যে বেশির ভাগ সিউড়ি বিধানসভা কেন্দ্রের রাজনগর, সাহাপুর, ভুরকুনা, আলুন্দা এবং ভবানীপুরের মতো এলাকায় বসবাস করেন।
উল্লেখ্য ইতিমধ্যে তৃণমূল কংগ্রেস উক্ত বিষয়ে রাজ্য নির্বাচন কমিশন এবং বীরভূম জেলাশাসককে চিঠি দিয়ে অভিযোগ জানিয়েছেন বলে দলীয় সূত্রে খবর। বিধায়ক আরো জানান, ভোটার তালিকায় ইচ্ছাকৃতভাবে হেরফেরের এটা একটা সুপরিকল্পিত চক্রান্ত।এই ধরনের কারচুপি সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ভোটাধিকার হরণের প্রয়াস। দলীয় গত ভাবে তৃণমূল কংগ্রেস বিষয়টি কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য প্রশাসনের কাছে দাবি জানিয়েছে। সেই সাথে ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে তদন্তের আর্জি জানিয়েছেন। স্থানীয় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষদের মাঝেও ক্ষোভের সঞ্চার তৈরি হয়েছে। প্রশাসনের তরফে দ্রুত পদক্ষেপের আর্জি জানিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। ভোটার তালিকায় স্বচ্ছতা এবং নাগরিকের ভোটাধিকার হরণ যেন না হয় সে বিষয়ে প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষন করা হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে বিজেপির বিরুদ্ধে তৃণমূল কংগ্রেসের হাতে প্রচারের বড়ো হাতিয়ার হয়ে উঠলো বলে রাজনৈতিক মহলের ধারণা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *