
শম্ভুনাথ সেনঃ
গুরুপূর্ণিমা উপলক্ষে “সংস্কার ভারতীর” উদ্যোগে এবং সিউড়ি শৃঞ্জন সংস্থার সহযোগিতায় ১২ জুলাই সন্ধ্যায় বীরভূমের সদর সিউড়ির রবীন্দ্রসদন প্রেক্ষাগৃহে “গীতগোবিন্দ পরিবেশন” সেই সাথে শিল্পী সম্মাননার আয়োজন করা হয়। এদিন প্রখ্যাত কীর্তন শিল্পী অনাথবন্ধু ঘোষকে গুরুরূপে বরণ করে নেন সতীর্থ শিল্পীরা। এই মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন পদ্মশ্রী পুরস্কার প্রাপক ভাদু শিল্পী রতন কাহার, বিশিষ্ট সাহিত্যিক নারায়ন ভট্টাচার্য্য, সংস্কার ভারতী পশ্চিমবঙ্গের মহামন্ত্রী তিলক সেনগুপ্ত প্রমুখ। দর্শক আসনে ছিলেন বীরভূমের শিক্ষা, সংস্কৃতি ও সাহিত্য জগতের বিদগ্ধ ব্যক্তিত্বরা। সংস্কার ভারতীর শিশু শিল্পীদের সাধয়তি নৃত্যের মাধ্যমে শুরু হয় প্রথম পর্ব।



পরবর্তীতে উদ্যোক্তাদের পক্ষ থেকে মঞ্চে উপবিষ্ট অতিথিদের বরণ এবং সম্মাননা প্রদান করা হয়। পরে মঞ্চে বিভিন্ন শিল্পীর দ্বারা পরিবেশিত হয় লোকনৃত্য। গুরু পূর্ণিমা উপলক্ষে নটরাজ রূপে পূজনের সংকল্পে সংস্থার বিভিন্ন শিল্পীরা শিবগানের মধ্যে দিয়ে নটরাজ বন্দনা করেন। এরপরেই শুরু হয় শিল্পী অনাথবন্ধু ঘোষের দশ অবতার বর্ণনা। গৌড়ীয় রীতি মেনে প্রথমেই গৌর চন্দ্রিকা বর্ণনা সেই সঙ্গে অপূর্ব সুরেলা কন্ঠ ও জ্ঞানগর্ভ শাস্ত্র আলোচনার মধ্যে দিয়ে ধীরে ধীরে তিনি প্রবেশ করেন দশ অবতার বর্ণনায়।

উল্লেখ্য, বীরভূমের বৈষ্ণবতীর্থ জয়দেব-কেন্দুলী এলাকার বাসিন্দা এই শিল্পী জন্মান্ধ। কিন্তু তাঁর জীবনভর সঙ্গীত সাধনা আর সুরেলা কন্ঠের জাদুতে সকল অনুষ্ঠানেই ছুঁয়ে দেয় দর্শকদের মন। এদিন এই গুরু-শিষ্যের মিলন উৎসবে কীর্তন শেষে সংস্কার ভারতীর রীতি মেনে কল্যাণ মন্ত্র উচ্চারণের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের পরিসমাপ্তি ঘটে। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন সংস্কার ভারতীর বীরভূম জেলা সমিতির সম্পাদক স্বরূপ সরকার।
