বীরভূমের দুবরাজপুরে “স্বামী ভূপানন্দ মহারাজের” ১২১ তম জন্মজয়ন্তী উদযাপন ও সারদা বিদ্যাপীঠের পারিতোষিক বিতরণ উৎসব

শম্ভুনাথ সেনঃ

বীরভূমের দুবরাজপুর শ্রী শ্রী রামকৃষ্ণ আশ্রমের প্রাণপুরুষ স্বামী ভূপানন্দ মহারাজের ১২১ তম জন্মদিনটি এবারও যথোচিত শ্রদ্ধায় পালিত হলো ১৭ জুলাই। আশ্রম পরিচালিত শ্রী শ্রী সারদা বিদ্যাপীঠ এই দিনটিকে মেধা বৃত্তি পুরস্কার বিতরণী দিবস হিসেবে পালন করে প্রতিবছর। বিদ্যাপীঠের স্বামী ভূপানন্দ মঞ্চে এদিন বিদ্যালয়ের ৭০ জন কৃতী ছাত্রকে পুরস্কার ও মেধাবৃত্তি তুলে দেওয়া হয়। অনুষ্ঠানে পৌরোহিত্য করেন বরানগর শ্রী শ্রী রামকৃষ্ণ আশ্রমের সভাপতি স্বামী সত্যপ্রকাশানন্দ মহারাজ। উপস্থিত ছিলেন সাধারণ সম্পাদক স্বামী সারদাত্মানন্দ মহারাজ, দুবরাজপুর পৌর প্রধান পীযুষ পাণ্ডে, জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক ডঃ সুজিত সামন্ত, বিদ্যাপীঠের সম্পাদক তথা দুবরাজপুর শ্রী শ্রী রামকৃষ্ণ আশ্রমের শীর্ষসেবক স্বামী সত্যশিবানন্দ মহারাজ সহ বিদ্যাপীঠের শিক্ষক-শিক্ষিকা ও ছাত্রবৃন্দ সহ বহু শিক্ষানুরাগী মানুষজন। অনুষ্ঠানে মুখকথা পরিবেশন করেন বিদ্যাপীঠের প্রধান শিক্ষক শুভাশিস চট্টরাজ।


উল্লেখ্য, দুবরাজপুর শ্রী শ্রী সারদা বিদ্যাপীঠ ১৯৫২ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। ঠাকুর সত্যানন্দদেবের হাত ছুঁয়ে এই বিদ্যালয়ের ভিত্তিপ্রস্তর গড়ে ওঠে। এই বিদ্যালয়ের সুনাম আজ জেলা জুড়ে। এদিনের অনুষ্ঠানে বিদ্যাপীঠের ২০২৫ সালের মাধ্যমিকে সর্বোচ্চ নম্বর প্রাপ্ত (৬৬৪) ছাত্র অর্ঘ্য দাসের হাতে জেলার সেরা সাপ্তাহিকী সংবাদপত্র “নয়াপ্রজন্ম” পত্রিকার পক্ষ থেকে “স্বামী ভুপানন্দ স্মৃতি” স্বর্ণপদক তুলে দেওয়া হয়। তুলে দেন জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক ড. সুজিত সামন্ত। এছাড়া বিদ্যালয়ের পড়াশোনা, খেলাধুলা ও সাংস্কৃতিক বিভাগের পারদর্শিতার জন্য এ বছরের শ্রেষ্ঠ দশম শ্রেণীর ছাত্র সাগ্নিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাতে নয়াপ্রজন্মে’র প্রতিনিধি সাংবাদিক শম্ভুনাথ সেন “স্বামী সত্যানন্দ স্মৃতি” পুরস্কার (বৃত্তি) তুলে দেন। উল্লেখ্য, নয়াপ্রজন্ম পত্রিকার প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক প্রয়াত কাঞ্চন সরকার স্বামী ভূপানন্দ মহারাজের জন্ম শতবর্ষ ২০০৪ সাল থেকে এই মেধাবৃত্তি দেওয়া শুরু করেন। সেই ধারাবাহিকতা আজও বজায় আছে। এদিন অনুষ্ঠানে বিদ্যাপীঠের ছাত্ররা কথা, কবিতা, সঙ্গীত পরিবেশন করে। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন বিদ্যাপীঠের শিক্ষক রামকৃষ্ণ চক্রবর্তী। স্বামী ভূপানন্দের জন্মদিন উপলক্ষে এদিন বিকেলে শ্রী শ্রী রামকৃষ্ণ আশ্রমের সত্যানন্দ মঞ্চে স্মৃতিচারণ, শ্রদ্ধার্ঘ্য নিবেদিত হয়। স্মৃতি চারণ করেন আশ্রমিক মহারাজরা এবং রামকৃষ্ণ আশ্রমের অনুরাগী মানুষজন। দিনটিকে স্মরণীয় করতে আশ্রমের পক্ষ থেকে এদিন ৪৫০ জন দুঃস্থদের হাতে তুলে দেওয়া হয় নতুন বস্ত্র‌। এ তথ্য জানিয়েছেন আশ্রমের শীর্ষসেবক স্বামী সত্যশিবানন্দ মহারাজ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *