শ্রাবণ দিনে আবৃত্তি নৃত্যের মেলবন্ধন ও সঙ্গীতের মূর্চ্ছনায় মুখরিত রবীন্দ্র সদন

দীপককুমার দাসঃ

উচ্চারণের দুদিন ব্যাপী পাঁচ শ্রাবণের শব্দ ফসল যে কত সুন্দর ও রুচিশীল হতে পারে তা দেখলো সিউড়ির রবীন্দ্র সদনে উপস্থিত সংস্কৃতি প্রেমীরা। উচ্চারণের শিক্ষার্থীদের আবৃত্তির অনুষ্ঠান এবং আবৃত্তির সঙ্গে ডঃ চন্দ্রাবলী ঘোষালের নৃত্য নির্দেশনায় অনুভবে টুলটুল নৃত্যাঙ্গণ বিদ্যানিকেতনের দৃশ্যায়ণ আলাদা মাত্রা যোগ করে অনুষ্ঠানে। শনিবার প্রথম দিন বিভিন্ন কবির কবিতা আবৃত্তি করে শোনান বাচিক শিল্পী আকাশ দত্ত ও শ্রবণা শীল। উচ্চারণ সংস্থার শ্রাবণ দিনে পঞ্চম বর্ষের অনুষ্ঠানে দ্বিতীয় দিন আবৃত্তি নৃত্যের মেলবন্ধনে শ্রদ্ধা জানানো কবি কাজী নজরুল ইসলাম ও গীতিকার সুরকার সলিল চৌধুরীকে। রবিবার সন্ধ্যার মূল আকর্ষণ ছিল প্রখ্যাত সঙ্গীত শিল্পী শ্রীকান্ত আচার্যের সঙ্গীতের অনুষ্ঠান। রবীন্দ্র সংগীত, আধুনিক, গজল বিভিন্ন আঙ্গিকের গানে ও সুরেলা কন্ঠের যাদুতে মাতিয়ে রাখেন সিউড়ির রবীন্দ্র সদনে উপস্থিত শ্রোতাদের। সমগ্র অনুষ্ঠানটির আয়োজক ছিলেন উচ্চারণের কর্ণধার তথা বাচিক শিল্পী বামদেব মুখার্জি। আয়োজকদের পক্ষ থেকে বাচিক শিল্পী শ্রবণা শীল জানান, দুই দিন ব্যাপী উচ্চারণ সংস্থার পঞ্চম বর্ষের অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। উচ্চারণের শিক্ষার্থীরা তাদের অনুষ্ঠান পরিবেশন করেন। পাশাপাশি ডঃ চন্দ্রাবলী ঘোষালের নৃত্য নির্দেশনায় অনুভবে টুলটুল নৃত্যাঙ্গণ বিদ্যানিকেতনের নৃত্য শিল্পীরা দৃশ্যায়নের মাধ্যমে আবৃত্তিকে নতুন ভাবে তূলে ধরে। দ্বিতীয় দিন সন্ধ্যায় উচ্চারণের শিক্ষার্থীদের আবৃত্তির সঙ্গে অনুভবে টুলটুল নৃত্যাঙ্গণ বিদ্যানিকেতনের দৃশ্যায়নের মাধ্যমে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম ও গীতিকার সুরকার সলিল চৌধুরীকে। এছাড়াও পাঁচ জন বিশিষ্ট বাচিক শিল্পী তাদের অনুষ্ঠান পরিবেশন করেন। আর পরিশেষে ছিল সঙ্গীত শিল্পী শ্রীকান্ত আচার্যের সঙ্গীতের অনুষ্ঠান। নামকরণ থেকে শুরু করে সমগ্র অনুষ্ঠানেই ছিল রুচিশীলতার ছাপ। এদিন এই অনুষ্ঠান দেখতে সিউড়ির রবীন্দ্র সদন মুখরিত ছিল সংস্কৃতিপ্রেমী বহু মানুষের উপস্থিতিতে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *