২৬ তম “কার্গীল বিজয় দিবস” উদযাপিত

নয়াপ্রজন্ম প্রতিবেদনঃ

১৫ বেঙ্গল ব্যাটেলিয়ান এনসিসি সিউড়ি, এর তত্ত্বাবধানে আজ ২৬ জুলাই ২৬ তম “কার্গীল বিজয় দিবস” উদযাপিত হল বীরভূমের “সাঁইথিয়া অভেদানন্দ মহাবিদ্যালয়ে”। জেলার ৬টি কলেজ এবং ১৪ টি হাইস্কুলের অন্তত ৪০০ জন এনসিসি প্রশিক্ষণ রত পড়ুয়ারা এই অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করে। উপস্থিত ছিলেন ১৫ বেঙ্গল কমান্ডিং অফিসার কর্নেল শুভ্রশঙ্কর রায়, কলেজের অধ্যাপক সহ এনসিসি আধিকারিক এবং শিক্ষক শিক্ষিকারা। উল্লেখ্য, ১৯৯৯ সালে কাশ্মীরের কার্গীল জেলায় ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সংঘটিত হয় সশস্ত্র সংঘর্ষ। পাকিস্তানি ফৌজ নিয়ন্ত্রণ রেখা পেরিয়ে ভারতে ঢুকে পড়লে এই যুদ্ধ অনিবার্য হয়ে পড়ে। সরকারি হিসেব অনুযায়ী এই লড়াইয়ে ৫৩৭ জন ভারতীয় জওয়ান শহীদ হন। আহত হন অন্তত দেড় হাজার জওয়ান। দেশে তখন প্রধানমন্ত্রী ছিলেন অটল বিহারী বাজপেয়ি। প্রতিবছর এই দিনটি স্মরণে দেশজুড়ে শহীদদের প্রতি স্মৃতি তর্পণ অনুষ্ঠিত হয়। এদিন অনুষ্ঠানের শুরুতে ভারতের শহীদ ও বীর সেনানীদের স্মৃতিতে শ্রদ্ধা জানিয়ে দেশভক্তি গানের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের সূচনা হয়। এই কার্গীল যুদ্ধে প্রত্যক্ষভাবে লড়াই করেছিলেন সেই সুবেদার খুদ্যুৎ সিং এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। তাঁর অভিজ্ঞতার কথা ছাত্র-ছাত্রীদের সামনে তুলে ধরেন। সেই সঙ্গে ২৬ তম কার্গীল বিজয় দিবসের ঐতিহাসিক গুরুত্ব ও ভারতের বীর সেনানীদের আত্মত্যাগের কথা তুলে ধরেন কর্নেল এস এস রায়। এদিনের এই দেশমাতৃকার প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণে উৎসাহিত হয় এনসিসি পড়ুয়ারা।

রাজনগরে কার্গিল বিজয় দিবস উদযাপন নেহরু যুব কেন্দ্রের সহায়তায়

২৬ জুলাই, কার্গিল বিজয় দিবস! বিগত ১৯৯৯ সালের এই দিনে ভারতীয় সেনাবাহিনী কার্গিল যুদ্ধে পাকিস্তানি অনুপ্রবেশকারীদের বিরুদ্ধে অপারেশন বিজয়ের মাধ্যমে জম্মু ও কাশ্মীরের কার্গিল সেক্টরে ঐতিহাসিক জয় অর্জন করে। এই যুদ্ধে শহীদ হন ৫২৭ জন ভারতীয় সেনা জওয়ান এবং আহত হন প্রায় ১৩০০জন। এই ‘অপারেশন বিজয়’ প্রায় তিন মাস ধরে চলে, মে থেকে জুলাই ১৯৯৯ পর্যন্ত। শেষে আসে কাঙ্খিত জয়।
সেই দিনটিকে স্মরণে রেখে দেশের বিভিন্ন স্থানে যথাযথ মর্যাদায় পালিত হয়। সেরূপ জেলা বীরভূমের প্রান্তিক অঞ্চল রাজনগরেও সাড়ম্বরে আয়োজিত হলো ভারত গর্বের কার্গিল দিবস। বীরভূম জেলা নেহরু যুব কেন্দ্রের সহায়তায়, গুলালগাছি সবুজ সংঘের আয়োজনে এবং রাজনগর গ্রাম সহায় কেন্দ্রের পরিচালনায় নানান কর্মসূচির মাধ্যমে দিনটি পালন করা হয়। স্থানীয় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সভাকক্ষে এই কার্গিল বিজয় দিবস উপলক্ষে শহীদদের প্রতি পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে শ্রদ্ধা নিবেদন, পদযাত্রা, প্রাসঙ্গিক আলোচনা সভা, ক্যুইজ, বৃক্ষ রোপণ করা হয়। অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য জগজীবন মন্ডল,বাচিক শিল্পী প্রভাত দত্ত, রাজনগর গ্রাম সহায় কেন্দ্রের সম্পাদক তথা শিক্ষক উত্তম কুমার মন্ডল, সংঘ নেত্রী সুমনা মন্ডল সহ এলাকার বিভিন্ন বিশিষ্টজনেরা। এ দিন দেশের বীর শহীদদের ত্যাগ ও সাহসিকতাকে শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করা হয় এবং দেশের জন্য তাঁদের অমর কীর্তি প্রচার করা হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *