দীপক কুমার দাসঃ
গত সপ্তাহে বীরভূম জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে অবৈধ খাদান বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়। আর তারপরেই পরিবেশ দপ্তরের ছাড়পত্রের দাবিতে সমস্ত পাথর খাদান ও ক্রাশার অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ করে দিয়েছে মালিক কর্তৃপক্ষ। আর এরফলে পুজোর আগে সমস্যায় পড়েছে প্রায় ষাট হাজার শ্রমিক। বীরভূম জেলায় আছে মোট ২১৭টি খাদান। যার মধ্যে ৬টি খাদানের কেবলমাত্র পরিবেশ দপ্তরের ছাড়পত্র আছে। ছয়টি খাদানের মধ্যে একটি সরকারি ও পাঁচটি বেসরকারি খাদান। ২০১৫ সালে এই অবৈধ খাদানগুলি বন্ধের দাবি জানিয়ে গ্রিণ টাইব্যুনালের দ্বারস্থ হন রামচন্দ্র মাড্ডি নামে এক ব্যক্তি। এরপর গ্রিণ টাইব্যুনাল যে সমস্ত পাথর খাদানের পরিবেশ দপ্তরের ছাড়পত্র নেই সেই ২১১টি অবৈধ খাদান বন্ধের নির্দেশ দেয়। কিন্তু তারপরও রমরমিয়ে চলেছে পাথর খাদান ও ক্রাশার। কিন্তু গত সপ্তাহে বীরভূম জেলা প্রশাসন নির্দেশ দেয় যেসমস্ত পাথর খাদানের পরিবেশ দপ্তরের ছাড়পত্র নেই সেগুলি বন্ধ করতে হবে। এদিকে ডেউচা পাঁচামী প্রস্তাবিত কয়লাখনি এলাকায় কয়লাখনির জন্য তৎপরতা শুরু করেছে প্রশাসন। বেশ কয়েকটি জায়গায় সমীক্ষার জন্য বোরিং করা হয়েছে। কয়লাখনির বিরোধিতা করেছে আদিবাসীদের একাংশ। এর মধ্যে প্রশাসনের এই নির্দেশ নিয়ে আন্দোলনে নেমেছে বীরভূম জেলা পাথর খাদান ও ক্রাশার অ্যাসোসিয়েশন। পরিবেশ দপ্তরের ছাড়পত্রের দাবিতে সমস্ত পাথর খাদান ও ক্রাশার অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ করেছে মালিকপক্ষ। আর এরফলে পুজোর আগে সমস্যায় পড়েছে প্রায় ষাট হাজার শ্রমিক। এলাকায় বৃষ্টির অভাবে চাষ প্রায় বন্ধ। এমতাবস্থায় কাজ হারিয়েছে কয়েক হাজার শ্রমিক। বন্ধ পাথর পরিবহনের লরি ও ডাম্পার। ফলে রাস্তায় ধারে গ্যারেজ ও হোটেল ব্যবসাতে চরম মন্দা শুরু হয়েছে। শুক্রবার পাথর খাদান ও ক্রাশার খোলার দাবিতে বামেদের পক্ষ থেকে মহঃবাজারে মিছিল বের করে বিক্ষোভ দেখানো হয়েছে। কবে আবার খুলবে পাথর শিল্পাঞ্চল সেদিকেই নজর সকলের।