সেখ ওলি মহম্মদঃ
বর্তমানে ডিজিট্যাল যুগে স্মার্ট ফোন, টিভির দাপটে ভাদুর মতো লোকসংস্কৃতির ধারাটি সংকটের মুখে। ডিজিটাল যুগে যেভাবে হারিয়ে যাচ্ছে ভাদু তাতে একদিন লুপ্ত হয়ে যাবে বলে আশঙ্কা করছেন অনেকে। ভাদু গান হল অন্যতম লোক সংস্কৃতি সম্পদ। কিন্তু সময়ের ব্যবধানে এখন ভাদু উৎসব অনেকটাই ম্লান হয়ে গিয়েছে। রাজনন্দিনী ভাদু রাঢ়ের কূলবধূ। মানভূমের অন্তর্গত কাশীপুরের রাজনন্দিনী হলেন ভাদু। তাঁর রূপ সৌন্দর্য ছিল ঈর্ষণীয়। বিয়ের পর ভাদুর অকাল মৃত্যু ঘটে। তাঁর স্মৃতিকে বাঁচিয়ে রাখার উদ্দেশ্যে ভাদু উৎসব ও ভাদু গানের সূচনা। ওই উৎসব চলে সারা ভাদ্র মাস জুড়ে। ভাদুর আসরে রাখা হয় রাজকন্যা ভাদুর একটি কল্পিত মাটির মূর্তি। আজ বীরভূম জেলার দুবরাজপুরে ভাদু নাচের চিত্র দেখা গেল। দুবরাজপুর ব্লকের লক্ষ্মীনারায়ণপুর অঞ্চলের রুপসিমুল গ্রামের মহিলারা সারা ভাদ্র মাস জুড়ে দুবরাজপুরের বিভিন্ন গ্রামে ভাদু নাচ দেখাতে যান। তাঁরা লোক সংস্কৃতি শিল্পী হলেও তাঁদের এখনও পর্যন্ত মেলেনি কোনো সরকারী সাহায্য। তাই তাঁরা দু’পয়সা রোজগারের জন্য ভাদু নাচ দেখাতে যান বলে জানান শংকরী বাগ্দী।