শম্ভুনাথ সেনঃ
গরু পাচার মামলার তদন্তে আজ ১৪ সেপ্টেম্বর ফের বীরভূমের বোলপুরে আসে সিবিআই। প্রথমে বিশ্বভারতীর রতনকুঠি গেস্ট হাউসের অস্থায়ী ক্যাম্পে ওঠে ৪ সদস্যের তদন্তকারী দল। উল্লেখ্য, আগামীকাল ১৫ সেপ্টেম্বর গরু পাচার মামলায় ফের আসানসোল সিবিআই আদালতে তোলা হবে অনুব্রত মণ্ডলের দেহরক্ষী সায়গল হোসেনকে৷ তার আগে ফের তদন্তে বোলপুরে সিবিআইয়ের ৪ সদস্যের প্রতিনিধি দল। বিশ্বভারতীর রতনকুঠি গেস্ট হাউসে সিবিআইয়ের অস্থায়ী ক্যাম্প অফিস রয়েছে৷ সেখানে ডেকে পাঠানো হয় কো-অপারেটিভ ব্যাঙ্কের এক আধিকারিককে৷ জানা গিয়েছে, ওই ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ নিয়েছিল অনুব্রত মণ্ডলের এক ঘনিষ্ঠ। সেই সমস্ত নথি নিয়ে আসতে বলা হয় সিবিআই ক্যাম্প অফিসে। এছাড়া, বোলপুরে রেজিস্ট্রি অফিসের দুই আধিকারিককেও ডেকে পাঠানো হয়৷ সেই মত নথি নিয়ে ক্যাম্প অফিসে আসেন তারা৷ গরু পাচার কান্ডে অনুব্রত মণ্ডলের টাকা কোন কোন স্থানে, কোথায়, কি কি ভাবে লগ্নি হয়েছে, এটাই মূলত তদন্ত করে দেখছেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা৷ প্রসঙ্গত, তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের ঘনিষ্ঠ এক ব্যবসায়ী রাজীব ভট্টাচার্যকেও ডেকে পাঠানো হয়৷ এর আগেও এই রাজীব ভট্টাচার্যকে জেরা করেছে তদন্তকারী অফিসারেরা৷ অন্তত ৫ টি রাইস মিল রয়েছে এই রাজীবের নামে। এছাড়াও, একাধিক বেনামি সম্পত্তি রয়েছে বলে জানতে পেরেছে তদন্তকারী সংস্থা। অনুব্রত মণ্ডল ঘনিষ্ঠ আরো এক ব্যবসায়ী মলয় পীঠের শান্তিনিকেতন ইনস্টিটিউট অফ পলিটেকনিক কলেজে আজ ১৪ সেপ্টেম্বর সিবিআই হানা দেয়৷ স্বাধীন ট্রাস্টের নামে রয়েছে এই কলেজ৷ অনুব্রত মণ্ডলের ভোলেবোম রাইস মিলে আগেই হানা দিয়ে এই ট্রাস্টের নামে একটি গাড়ি পেয়েছিল সিবিআই অফিসারেরা। সরাসরি কলেজে এসে সংস্থার কর্ণধারের কক্ষে সোজা চলে যান গোয়েন্দারা৷ এদিন দুপুর থেকে বিশ্বভারতীর রতনকুঠি গেস্ট হাউসে সিবিআইয়ের অস্থায়ী ক্যাম্প অফিসে অনুব্রত ঘনিষ্ঠ রাইস মিল ব্যবসায়ী রাজীব ভট্টাচার্য, স্বর্ণ ব্যবসায়ী সুজিত দে সহ ব্যাঙ্ক আধিকারিক ও রেজিস্ট্রি অফিসের আধিকারিকদের জেরা করে সিবিআই। তারপরেই মলয় পীঠের এই কলেজে হানা দেয় তদন্তকারী সংস্থার প্রতিনিধিরা।