দীপককুমার দাসঃ
নতুন করে হচ্ছে না পটের দুর্গার পুজো, বংশপরম্পরায় তারা যে পট আঁকতেন সেই পট এখনো এঁকে চলেছেন শিল্পী নবকুমার সূত্রধর। নবকুমার সূত্রধরের বাড়ি মহঃবাজার থানার রঘুনাথপুর। বাবা গদাধর সূত্রধর ছিলেন নামী মৃৎশিল্পী। বাবার কাছ থেকেই পটের দুর্গা আঁকার শিক্ষা। আর বাবা গদাধর সূত্রধর মারা যাওয়ার পর সেই গুরু দায়িত্ব পালন করে চলেছেন তাঁর বড় ছেলে নবকুমার সূত্রধর।এবারও আঁকছেন কড়িধ্যার চূড়মুড়া গ্রামের পটের দুর্গা। নিজে একজন অঙ্কন শিল্পী। তিন শতাধিক ছাত্র ছাত্রীকে শেখান আঁকার পাঠ। তিনি বলেন, “নতুন প্রজন্ম পটের দিকে আকৃষ্ট হচ্ছে না। পট আঁকতে প্রথমেই চার পাঁচটা আর্ট পেপার আঁঠা দিয়ে চিটিয়ে ক্যানভাস বানানো হয়। এরপর সেই ক্যানভাসে আঁকা হয় পটের দুর্গা। আগে রঙ বানানো হতো ঘরেই। এখন বাজার থেকে রঙ কিনে রঙ করা হয়”। পুজোর আর মাত্র কয়েকটা দিন। তাই নবকুমার সূত্রধর এখন ব্যস্ত পটের দুর্গা আঁকতে। দীর্ঘ দিন ধরে যে প্যাটার্নে পট আঁকা হয়ে আসছে, সেই শিল্পশৈলীতেই আঁকছেন পটের দুর্গা। তার অঙ্কন শেখানোর স্কুল কঙ্কনা কলাকেন্দ্রমেই এখন চলছে পটের দুর্গা আঁকার কাজ।