শম্ভুনাথ সেনঃ
বীরভূমের অন্যতম একটি প্রাচীন কালীপুজো দুবরাজপুর ব্লকের লোবা গ্রামে অনুষ্ঠিত হয়। ইংরেজ শাসনকালের আগে থেকেই এই পুজো অনুষ্ঠিত হয় বলে কথিত। প্রায় ৩০০ বছরের পুরোনো এই গ্রামের কালী মা গ্রামের নামেই, ‘লোবা মা’ নামেই পরিচিত। প্রাচীন এই পুজোকে ঘিরে রয়েছে নানান জনশ্রুতি। পাশাপাশি এই পুজোয় জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে হিন্দু-মুসলিম উভয় সম্প্রদায়ের মানুষজনদের অংশগ্রহণ লক্ষ্য করা যায়। এই পুজোকে কেন্দ্র করে প্রতিবছর বসে একটি গ্রামীণ মেলা। পুজোর ইতিহাস সম্পর্কে লোবা মন্দিরের ট্রাস্টি ঘোষ পরিবার সূত্রে জানা যায় সাধক রামেশ্বর দন্ডি অজয় নদের তীরে তার আরাধ্য দেবী এই লোবা মায়ের প্রতিষ্ঠা করেন। তারপর কোনো এক সময় তিনি ওই লোবা গ্রাম ছেড়ে চলে যান। গ্রাম ছেড়ে যাওয়ার আগে সাধক রামেশ্বর দন্ডী পুজোর দায়িত্ব দিয়ে যান স্থানীয় ঘোষ পরিবারদের হাতে। গ্রামের চক্রবর্তী পরিবার সেবায়েত হিসেবে দায়িত্ব নেন। পরম্পরায় এভাবে পুজো চলে আসছে। ভক্তদের দানে এখন পুজো সাড়ম্বরে অনুষ্ঠিত হয়। এই অমাবস্য্যায় কালীপুজো ছাড়াও বছর ভর মায়ের মন্দিরে উপস্থিত হন ভক্ত-পুণ্যার্থীরা।