দীপক কুমার দাসঃ
মঙ্গলবার মহঃ বাজার পঞ্চায়েতের খড়িয়া গ্রামের গোষ্ঠ উৎসব সাড়ম্বরে পালিত হলো। এই গ্রামের প্রধান উৎসব এই গোষ্ঠ উৎসব। এই উৎসব প্রায় তিনশো বছরের প্রাচীন। প্রতিবছর এই গোষ্ঠ উৎসবকে কেন্দ্র করে বসে গ্রামীণ মেলা, জনতার ভিড় উপচে পড়ে। বিগত দুবছর করোণার কারণে মেলা বন্ধ ছিল। অনাড়ম্বর ভাবে এই উৎসব পালন করা হয়েছিল। এবার সেই পরিস্থিতির বদল হয়েছে। এবার এই উৎসবকে কেন্দ্র করে খড়িয়া গ্রামে, পাশ্ববর্তী গ্রামগুলি থেকে বহু মানুষ জড়ো হন। সকালে মঙ্গলারতি, ভাগবত পাঠ, নামকীর্তন হয়। ভোগ আরতির পর দশ থেকে বারো হাজার মানুষকে খিচুড়ি প্রসাদ খাওয়ানো হয়। এরপর তিনটা নাগাদ রাজ রাজেশ্বর আশ্রম প্রাঙ্গণ থেকে ফুল দিয়ে সাজানো চৌদোলাতে বিগ্রহ চাপিয়ে শোভাযাত্রা সহকারে শ্রীগোপালের গোষ্ঠযাত্রার সূচনা হয়। সূচনা পর্বে উপস্থিত ছিলেন মহঃবাজার থানার ওসি তপাই বিশ্বাস। তাসাপার্টি, ব্যান্ড, আদিবাসী নৃত্য, কীর্তনের দলের গান, ঢাক সহযোগে শোভাযাত্রা সহকারে সুসজ্জিত চৌদোলা করে বিগ্রহকে রাজ রাজেশ্বর আশ্রম থেকে খড়িয়া মিলনী সংঘের মাঠে গোষ্ঠতলায় আনা হয়। সেখানে রাত দশটা পর্যন্ত রেখে পুনরায় চৌদোলায় চাপিয়ে রাজ রাজেশ্বর আশ্রমে ফিরিয়ে আনা হয়। এই অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে খড়িয়া মিলনী সংঘের মাঠে বসে একদিনের জমজমাট গ্রামীণ মেলা। বর্তমান সেবাইত সেবানন্দ দাস বাবাজী জানান, মদনগোপাল, রাজ রাজেশ্বর, গোপাল, গিরিধারী ও শালেগ্রাম শিলাকে চৌদোলা করে শোভাযাত্রা সহকারে গোষ্ঠতলায় আনা হয়।গোষ্ঠতলাতে গোষ্ঠলীলা ও কীর্তন হয়। গোষ্ঠ শেষে আবার রাতে সব বিগ্রহকে গোষ্ঠতলা থেকে রাজ রাজেশ্বর আশ্রম ফিরিয়ে আনা হয়। এই উৎসব কমিটির সভাপতি অসীম রায় গুপ্ত বলেন, এই উৎসব তিনশো বছরের প্রাচীন। এবছর ব্যান্ড, ঢাক, কীর্তন, আদিবাসী নৃত্য সহযোগে শোভাযাত্রা সহকারে বিগ্রহ গুলিকে গোষ্ঠতলায় আনা হয়। দুবছর করোণার কারণে মহোৎসব হয়নি। এবার সেই পরিস্থিতির বদল হয়েছে। এবার আগের থেকেও বহ মানুষ এসেছেন এই গোষ্ঠ উৎসবে। এই কমিটির সম্পাদক আনন্দ গোপাল কর্মকার বলেন, এই উৎসব এই এলাকার একটি ঐতিহ্যমন্ডিত উৎসব। গোষ্ঠতলায় বিগ্রহকে আনা হয়। পালা কীর্তন ও নাম কীর্তন হয়। আর এই উপলক্ষে বসেছে জমজমাট মেলা।